টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এই কয়লা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। বনের কাঠ পোড়ানোর জন্য মির্জাপুরে আজগানা গ্রামে রয়েছে ২১টি চুলা। কাঠ পোড়ানের মহাযজ্ঞে ধ্বংস হচ্ছে বন, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালায় বলে জানা যায়। সেসব অভিযানে কাঠ পোড়ানোর চুলা ধ্বংসও করা হয়। তবে অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো চুলা তৈরি করা হয়, পোড়ানো হয় কাঠ। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে প্রতিদিন নানানভাবে বন ধ্বংস হচ্ছে। অবৈধ দখল, নির্বিচারে গাছকাটা, কাঠ পাচার, বসতি স্থাপন প্রভৃতি কারণে বন সংকুচিত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বন রক্ষায় বন বিভাগ কী ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ রয়েছে যে, বন বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী নানান অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে বনের গাছপালা রক্ষার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইলে চুলা বানিয়ে কয়লা তৈরির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানা যায়। তবে জরুরি হচ্ছে যারা চুলা বানিয়ে বনের কাঠ পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। কেবল চুলা ভেঙে ফেলাই যথেষ্ট নয়। একবার ভেঙে ফেলার পর সেখানে যেন পুনরায় কেউ চুলা তৈরি করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ী পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
কেবল টাঙ্গাইলেরই নয় সারা দেশের বনভূমিই রক্ষা করতে হবে। বনভূমি ধ্বংসের মতো সমস্যা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা চলে না। বন ধ্বংস হলে পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে দেশে দেশে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেশে এ বছর বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক কম বৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমি বাড়াতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নেই। বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই।
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এই কয়লা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। বনের কাঠ পোড়ানোর জন্য মির্জাপুরে আজগানা গ্রামে রয়েছে ২১টি চুলা। কাঠ পোড়ানের মহাযজ্ঞে ধ্বংস হচ্ছে বন, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালায় বলে জানা যায়। সেসব অভিযানে কাঠ পোড়ানোর চুলা ধ্বংসও করা হয়। তবে অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো চুলা তৈরি করা হয়, পোড়ানো হয় কাঠ। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে প্রতিদিন নানানভাবে বন ধ্বংস হচ্ছে। অবৈধ দখল, নির্বিচারে গাছকাটা, কাঠ পাচার, বসতি স্থাপন প্রভৃতি কারণে বন সংকুচিত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বন রক্ষায় বন বিভাগ কী ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ রয়েছে যে, বন বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী নানান অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে বনের গাছপালা রক্ষার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইলে চুলা বানিয়ে কয়লা তৈরির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানা যায়। তবে জরুরি হচ্ছে যারা চুলা বানিয়ে বনের কাঠ পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। কেবল চুলা ভেঙে ফেলাই যথেষ্ট নয়। একবার ভেঙে ফেলার পর সেখানে যেন পুনরায় কেউ চুলা তৈরি করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ী পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
কেবল টাঙ্গাইলেরই নয় সারা দেশের বনভূমিই রক্ষা করতে হবে। বনভূমি ধ্বংসের মতো সমস্যা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা চলে না। বন ধ্বংস হলে পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে দেশে দেশে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেশে এ বছর বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক কম বৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমি বাড়াতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নেই। বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই।