alt

সাময়িকী

সুবেদার রাজ্জাকের বীরত্বগাথা

রাহাত রাব্বানী

: শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আবদ্ধ একটি ঘরের মেঝেতে শোয়ানো হলো সুবেদার রাজ্জাককে। এরপর বরফে ঢেকে দেওয়া হলো তাঁর উদোম শরীর। দীর্ঘদেহী একজন ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছেন বরফে ঢাকা রাজ্জাকের পাশে। বরফের ঠাণ্ডায় শরীর ক্রমশই নিস্তেজ হয়ে আসছে। এই বুঝি দেহ থেকে প্রাণটা বেরিয়ে যাচ্ছে- মনে হচ্ছিল রাজ্জাকের। আর তখনই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাক্তার সেনাদের বললেন- ‘দ্রুত বের করুন, মারা যাবে।’ ডাক্তারের অনুমতি পেয়ে সেনারা বরফ থেকে রাজ্জাককে বের করে আনল। এবার অত্যাচারের মাত্রায় খানিকটা ভিন্নতা, তবে তীব্রতর। ফুটন্ত গরম জলভর্তি ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো রাজ্জাকের শরীর। কিছুক্ষণ পর আবার গরম জলের ব্যাগের নিচ থেকে তাকে তুলে ফেলে রাখা হলো মেঝেতে।

সন্ধ্যা হলেই নেমে আসত এমন নরকযন্ত্রণা। দুই হাত টান করে রশি দিয়ে বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো তাকে। হাতের প্রতিটি আঙুলের ডগায় ইলেকট্রনিক সুচ লাগানো থাকত। ঘুম এলে নড়াচড়ায় সুচগুলো বিঁধে যেত নখের ভেতরে। এ সময় মা গো, বাবা গো বলে চিৎকার করতে থাকতেন রাজ্জাক। আর তখনই বুটজুতো পায়ে দৌড়ে এসে পাকিস্তানি সেনারা বলত- ‘বল, শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবি কি না?’ রাজ্জাকের একই জবাব ‘না’। এভাবেই দিনের পর দিন পাকিস্তানি সেনারা নির্যাতন চালিয়েছে রাজ্জাকের ওপর। শুধু সুবেদার রাজ্জাক নন, এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গ্রেফতার হওয়া প্রায় সকলেই। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন জাতির পিতাকে। বলেছেন ‘ফাঁসির দড়িতে ঝুললেও মিথ্যা সাক্ষ্য দেবো না।’ ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার ১৪ নাম্বার আসামি ও বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক বহুবার নিজেই তাঁর জীবনের এসব ঘটনা বলেছেন স্ত্রী ও সন্তানের কাছে।’ এভাবেই এগিয়ে গেছে গল্প। জীবনের গল্প, বাস্তবতা গল্প।

নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইজাজ আহমেদ মিলন দেশবাসীর কাছে উদ্ভাসিত করেছেন বীরযোদ্ধা সুবেদার আবদুর রাজ্জাকের জীবন। লিখেছেন ‘বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক: আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি’ শিরোনামে দীর্ঘ এক বই।

সুবেদার আবদুর রাজ্জাক, যিনি ব্রিটিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়েছেন। আবার সেই তিনিই ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লড়েছেন পাকিস্তানের হয়ে। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধেও রেখেছেন বীরোচিত ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষক হিসেবে তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান। শত শত মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এই গুণীজনের কাছ থেকে। কখনো আবার নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যুদ্ধের ময়দানে। যুদ্ধের মাঠে মাঠেই জীবনের বড় একটা অংশ চলে গেছে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের।

স্বাধীনতার পথ রচনাকারী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মামলার পঁয়ত্রিশ জন আসামির মধ্যে চৌদ্দ নম্বর আসামি ছিলেন সুবেদার আবদুর রাজ্জাক। দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সুবেদার রাজ্জাকের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অজানা অধ্যায় লিপিবদ্ধ করেছেন ইজাজ আহ্মেদ মিলন। মৃত্যুর সতেরো বছর পর ‘বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক : আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি’ শিরোনামের এ গ্রন্থে সুবেদার রাজ্জাকের জীবনালেখ্য রচনার ক্ষেত্রে লেখক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

বইটির ভূমিকায় বরেণ্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন লিখেছেন- ‘বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি’ শিরোনামে ইজাজ আহমেদ মিলন এই অসাধারণ মানুষটির জীবনী রচনা করে তাঁকে দেশবাসীর সামনে নিয়ে এসেছেন। জাতির ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য দিক সম্পন্ন হয়েছে এই মাত্রায়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করার পর থেকে কথায় কথায় তাঁকে জেলে ভরা পাকিস্তানি প্রশাসনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তানি প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য অবতারণ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে মোট পঁয়ত্রিশজনের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় আসামি করা হয়, শেখ মুজিব এবং সেনাবাহিনীর কিছু বাঙালি সদস্য ভারত সরকারের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। লেখত তার মেধা ও শ্রমের নিপুণ ব্যবহারে ফুটিয়ে তুলেছেন ইতিহাসের অন্যতম এই অংশ। একই সাথে সুবেদার রাজ্জাকের জীবনের নানান দিক উঠে এসেছে অসামান্য ব্যঞ্জনায়।

ইজাজ আহমেদ মিলন মূলত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। মোহনীয় ভাষায় রচনা করেছেন একাধিক জীবনী গ্রন্থ- যা শেষ পর্যন্ত একই সাথে হয়ে উঠেছে ব্যক্তি, সমাজ ও একটি দেশের ইতিহাস। সুবেদার আবদুর রাজ্জাকের জীবনালেখ্যও তার ব্যতিক্রম নয়।

বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক : আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি ॥ ইজাজ আহমেদ মিলন ॥ প্রকাশক : অন্য প্রকাশ ॥ প্রচ্ছদ : মাসুম রহমান ॥ মূল্য: ৪৮০ টাকা।

ছবি

ওবায়েদ আকাশের বাছাই ৩২ কবিতা

ছবি

‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে’

ছবি

স্মৃতির অতল তলে

ছবি

দেহাবশেষ

ছবি

যাদুবাস্তবতা ও ইলিয়াসের যোগাযোগ

ছবি

বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা

ছবি

মিহির মুসাকীর কবিতা

ছবি

শুশ্রƒষার আশ্রয়ঘর

ছবি

সময়োত্তরের কবি

ছবি

নাট্যকার অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৪

ছবি

মহত্ত্বম অনুভবে রবিউল হুসাইন

‘লাল গহনা’ উপন্যাসে বিষয়ের গভীরতা

ছবি

‘শৃঙ্খল মুক্তির জন্য কবিতা’

ছবি

স্মৃতির অতল তলে

ছবি

মোহিত কামাল

ছবি

আশরাফ আহমদের কবিতা

ছবি

‘আমাদের সাহিত্যের আন্তর্জাতিকীকরণে আমাদেরই আগ্রহ নেই’

ছবি

ছোটগল্পের অনন্যস্বর হাসান আজিজুল হক

‘দীপান্বিত গুরুকুল’

ছবি

নাসির আহমেদের কবিতা

ছবি

শেষ থেকে শুরু

সাময়িকী কবিতা

ছবি

স্মৃতির অতল তলে

ছবি

রবীন্দ্রবোধন

ছবি

বাঙালির ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি হয়ে ওঠার দীর্ঘ সংগ্রাম

ছবি

হাফিজ রশিদ খানের নির্বাচিত কবিতা আদিবাসীপর্ব

ছবি

আনন্দধাম

ছবি

কান্নার কুসুমে চিত্রিত ‘ধূসরযাত্রা’

সাময়িকী কবিতা

ছবি

ফারুক মাহমুদের কবিতা

ছবি

পল্লীকবি জসীম উদ্দীন ও তাঁর অমর সৃষ্টি ‘আসমানী’

ছবি

‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে’

ছবি

পরিবেশ-সাহিত্যের নিরলস কলমযোদ্ধা

ছবি

আব্দুলরাজাক গুনরাহর সাহিত্যচিন্তা

ছবি

অমিতাভ ঘোষের ‘গান আইল্যান্ড’

ছবি

‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে’

tab

সাময়িকী

সুবেদার রাজ্জাকের বীরত্বগাথা

রাহাত রাব্বানী

শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আবদ্ধ একটি ঘরের মেঝেতে শোয়ানো হলো সুবেদার রাজ্জাককে। এরপর বরফে ঢেকে দেওয়া হলো তাঁর উদোম শরীর। দীর্ঘদেহী একজন ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছেন বরফে ঢাকা রাজ্জাকের পাশে। বরফের ঠাণ্ডায় শরীর ক্রমশই নিস্তেজ হয়ে আসছে। এই বুঝি দেহ থেকে প্রাণটা বেরিয়ে যাচ্ছে- মনে হচ্ছিল রাজ্জাকের। আর তখনই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাক্তার সেনাদের বললেন- ‘দ্রুত বের করুন, মারা যাবে।’ ডাক্তারের অনুমতি পেয়ে সেনারা বরফ থেকে রাজ্জাককে বের করে আনল। এবার অত্যাচারের মাত্রায় খানিকটা ভিন্নতা, তবে তীব্রতর। ফুটন্ত গরম জলভর্তি ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো রাজ্জাকের শরীর। কিছুক্ষণ পর আবার গরম জলের ব্যাগের নিচ থেকে তাকে তুলে ফেলে রাখা হলো মেঝেতে।

সন্ধ্যা হলেই নেমে আসত এমন নরকযন্ত্রণা। দুই হাত টান করে রশি দিয়ে বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো তাকে। হাতের প্রতিটি আঙুলের ডগায় ইলেকট্রনিক সুচ লাগানো থাকত। ঘুম এলে নড়াচড়ায় সুচগুলো বিঁধে যেত নখের ভেতরে। এ সময় মা গো, বাবা গো বলে চিৎকার করতে থাকতেন রাজ্জাক। আর তখনই বুটজুতো পায়ে দৌড়ে এসে পাকিস্তানি সেনারা বলত- ‘বল, শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবি কি না?’ রাজ্জাকের একই জবাব ‘না’। এভাবেই দিনের পর দিন পাকিস্তানি সেনারা নির্যাতন চালিয়েছে রাজ্জাকের ওপর। শুধু সুবেদার রাজ্জাক নন, এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গ্রেফতার হওয়া প্রায় সকলেই। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন জাতির পিতাকে। বলেছেন ‘ফাঁসির দড়িতে ঝুললেও মিথ্যা সাক্ষ্য দেবো না।’ ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার ১৪ নাম্বার আসামি ও বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক বহুবার নিজেই তাঁর জীবনের এসব ঘটনা বলেছেন স্ত্রী ও সন্তানের কাছে।’ এভাবেই এগিয়ে গেছে গল্প। জীবনের গল্প, বাস্তবতা গল্প।

নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইজাজ আহমেদ মিলন দেশবাসীর কাছে উদ্ভাসিত করেছেন বীরযোদ্ধা সুবেদার আবদুর রাজ্জাকের জীবন। লিখেছেন ‘বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক: আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি’ শিরোনামে দীর্ঘ এক বই।

সুবেদার আবদুর রাজ্জাক, যিনি ব্রিটিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়েছেন। আবার সেই তিনিই ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লড়েছেন পাকিস্তানের হয়ে। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধেও রেখেছেন বীরোচিত ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষক হিসেবে তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান। শত শত মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এই গুণীজনের কাছ থেকে। কখনো আবার নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যুদ্ধের ময়দানে। যুদ্ধের মাঠে মাঠেই জীবনের বড় একটা অংশ চলে গেছে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের।

স্বাধীনতার পথ রচনাকারী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মামলার পঁয়ত্রিশ জন আসামির মধ্যে চৌদ্দ নম্বর আসামি ছিলেন সুবেদার আবদুর রাজ্জাক। দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সুবেদার রাজ্জাকের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অজানা অধ্যায় লিপিবদ্ধ করেছেন ইজাজ আহ্মেদ মিলন। মৃত্যুর সতেরো বছর পর ‘বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক : আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি’ শিরোনামের এ গ্রন্থে সুবেদার রাজ্জাকের জীবনালেখ্য রচনার ক্ষেত্রে লেখক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

বইটির ভূমিকায় বরেণ্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন লিখেছেন- ‘বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি’ শিরোনামে ইজাজ আহমেদ মিলন এই অসাধারণ মানুষটির জীবনী রচনা করে তাঁকে দেশবাসীর সামনে নিয়ে এসেছেন। জাতির ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য দিক সম্পন্ন হয়েছে এই মাত্রায়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করার পর থেকে কথায় কথায় তাঁকে জেলে ভরা পাকিস্তানি প্রশাসনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তানি প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য অবতারণ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে মোট পঁয়ত্রিশজনের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় আসামি করা হয়, শেখ মুজিব এবং সেনাবাহিনীর কিছু বাঙালি সদস্য ভারত সরকারের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। লেখত তার মেধা ও শ্রমের নিপুণ ব্যবহারে ফুটিয়ে তুলেছেন ইতিহাসের অন্যতম এই অংশ। একই সাথে সুবেদার রাজ্জাকের জীবনের নানান দিক উঠে এসেছে অসামান্য ব্যঞ্জনায়।

ইজাজ আহমেদ মিলন মূলত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। মোহনীয় ভাষায় রচনা করেছেন একাধিক জীবনী গ্রন্থ- যা শেষ পর্যন্ত একই সাথে হয়ে উঠেছে ব্যক্তি, সমাজ ও একটি দেশের ইতিহাস। সুবেদার আবদুর রাজ্জাকের জীবনালেখ্যও তার ব্যতিক্রম নয়।

বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক : আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামি ॥ ইজাজ আহমেদ মিলন ॥ প্রকাশক : অন্য প্রকাশ ॥ প্রচ্ছদ : মাসুম রহমান ॥ মূল্য: ৪৮০ টাকা।

back to top