alt

সম্পাদকীয়

সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি বেদখল হয় কীভাবে

: বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১

পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমির পরিমাণ ১৩৩ দশমিক ২৫ একর। তবে বর্তমানে এ হাসপাতাল খাজনা দিচ্ছে ৭৪ একর জমির। রহস্যজনকভাবে অবশিষ্ট ২৯ দশমিক ২৫ একর জমি পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ প্রায় ৩০ একর বা ৯০ বিঘা জমি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির ফলে বিশ্বমানের হাসপাতাল করার প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমি ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার খবরটি উদ্বেগজনক। তবে এমন ঘটনা যে শুধু পাবনা মানসিক হাসপাতালেই ঘটেছে তা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, দপ্তর এবং সংস্থার জমি বেদখলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬১ হাজার ৮৬০ একর ভূমির মধ্যে প্রায় তিন হাজার একর জমিই বেদখল হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এসব জমি ভোগদখল করছে। অনেক জায়গা অবৈধ দখলদারদের নামে রেকর্ডও করা হয়েছে। অনেকে এসব জমিতে বহুতল ভবনও নির্মাণ করেছেন। প্রশ্ন হলো, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি বেদখল হয় কীভাবে? এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা আছেন তারা কী কিছুই দেখেন না? দখলদারদের উচ্ছেদে সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?

২০১৯ সালে আইন সংশোধন করে সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি-স্থাপনা দখলের সাজা বাড়িয়েছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতে কোন সুফল মেলেনি। এর কারণ আইনের প্রয়োগ না হওয়া। কোন আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ না হয় তাহলে সাজা বাড়ানোর ভয় দেখিয়ে লাভ কী?

সরকারি জমির দখলদার উচ্ছেদে সবার আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে চায় তাহলে কোন শক্তিই এর বিপরীতে দাঁড়াতে পারবে না। কাজেই পাবনা মেডিকেল হাসপাতাল কিংবা রেলওয়ের জমি পুনরুদ্ধারে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী ও জলাশয়ের দখলদার উচ্ছেদে যেভাবে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি পুনরুদ্ধারেও একই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি বেদখল হয় কীভাবে

বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১

পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমির পরিমাণ ১৩৩ দশমিক ২৫ একর। তবে বর্তমানে এ হাসপাতাল খাজনা দিচ্ছে ৭৪ একর জমির। রহস্যজনকভাবে অবশিষ্ট ২৯ দশমিক ২৫ একর জমি পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ প্রায় ৩০ একর বা ৯০ বিঘা জমি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির ফলে বিশ্বমানের হাসপাতাল করার প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমি ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার খবরটি উদ্বেগজনক। তবে এমন ঘটনা যে শুধু পাবনা মানসিক হাসপাতালেই ঘটেছে তা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, দপ্তর এবং সংস্থার জমি বেদখলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬১ হাজার ৮৬০ একর ভূমির মধ্যে প্রায় তিন হাজার একর জমিই বেদখল হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এসব জমি ভোগদখল করছে। অনেক জায়গা অবৈধ দখলদারদের নামে রেকর্ডও করা হয়েছে। অনেকে এসব জমিতে বহুতল ভবনও নির্মাণ করেছেন। প্রশ্ন হলো, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি বেদখল হয় কীভাবে? এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা আছেন তারা কী কিছুই দেখেন না? দখলদারদের উচ্ছেদে সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?

২০১৯ সালে আইন সংশোধন করে সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি-স্থাপনা দখলের সাজা বাড়িয়েছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতে কোন সুফল মেলেনি। এর কারণ আইনের প্রয়োগ না হওয়া। কোন আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ না হয় তাহলে সাজা বাড়ানোর ভয় দেখিয়ে লাভ কী?

সরকারি জমির দখলদার উচ্ছেদে সবার আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে চায় তাহলে কোন শক্তিই এর বিপরীতে দাঁড়াতে পারবে না। কাজেই পাবনা মেডিকেল হাসপাতাল কিংবা রেলওয়ের জমি পুনরুদ্ধারে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী ও জলাশয়ের দখলদার উচ্ছেদে যেভাবে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি পুনরুদ্ধারেও একই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

back to top