পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমির পরিমাণ ১৩৩ দশমিক ২৫ একর। তবে বর্তমানে এ হাসপাতাল খাজনা দিচ্ছে ৭৪ একর জমির। রহস্যজনকভাবে অবশিষ্ট ২৯ দশমিক ২৫ একর জমি পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ প্রায় ৩০ একর বা ৯০ বিঘা জমি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির ফলে বিশ্বমানের হাসপাতাল করার প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমি ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার খবরটি উদ্বেগজনক। তবে এমন ঘটনা যে শুধু পাবনা মানসিক হাসপাতালেই ঘটেছে তা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, দপ্তর এবং সংস্থার জমি বেদখলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬১ হাজার ৮৬০ একর ভূমির মধ্যে প্রায় তিন হাজার একর জমিই বেদখল হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এসব জমি ভোগদখল করছে। অনেক জায়গা অবৈধ দখলদারদের নামে রেকর্ডও করা হয়েছে। অনেকে এসব জমিতে বহুতল ভবনও নির্মাণ করেছেন। প্রশ্ন হলো, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি বেদখল হয় কীভাবে? এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা আছেন তারা কী কিছুই দেখেন না? দখলদারদের উচ্ছেদে সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?
২০১৯ সালে আইন সংশোধন করে সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি-স্থাপনা দখলের সাজা বাড়িয়েছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতে কোন সুফল মেলেনি। এর কারণ আইনের প্রয়োগ না হওয়া। কোন আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ না হয় তাহলে সাজা বাড়ানোর ভয় দেখিয়ে লাভ কী?
সরকারি জমির দখলদার উচ্ছেদে সবার আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে চায় তাহলে কোন শক্তিই এর বিপরীতে দাঁড়াতে পারবে না। কাজেই পাবনা মেডিকেল হাসপাতাল কিংবা রেলওয়ের জমি পুনরুদ্ধারে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী ও জলাশয়ের দখলদার উচ্ছেদে যেভাবে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি পুনরুদ্ধারেও একই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।
বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমির পরিমাণ ১৩৩ দশমিক ২৫ একর। তবে বর্তমানে এ হাসপাতাল খাজনা দিচ্ছে ৭৪ একর জমির। রহস্যজনকভাবে অবশিষ্ট ২৯ দশমিক ২৫ একর জমি পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ প্রায় ৩০ একর বা ৯০ বিঘা জমি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির ফলে বিশ্বমানের হাসপাতাল করার প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমি ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার খবরটি উদ্বেগজনক। তবে এমন ঘটনা যে শুধু পাবনা মানসিক হাসপাতালেই ঘটেছে তা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, দপ্তর এবং সংস্থার জমি বেদখলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬১ হাজার ৮৬০ একর ভূমির মধ্যে প্রায় তিন হাজার একর জমিই বেদখল হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এসব জমি ভোগদখল করছে। অনেক জায়গা অবৈধ দখলদারদের নামে রেকর্ডও করা হয়েছে। অনেকে এসব জমিতে বহুতল ভবনও নির্মাণ করেছেন। প্রশ্ন হলো, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি বেদখল হয় কীভাবে? এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা আছেন তারা কী কিছুই দেখেন না? দখলদারদের উচ্ছেদে সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?
২০১৯ সালে আইন সংশোধন করে সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি-স্থাপনা দখলের সাজা বাড়িয়েছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতে কোন সুফল মেলেনি। এর কারণ আইনের প্রয়োগ না হওয়া। কোন আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ না হয় তাহলে সাজা বাড়ানোর ভয় দেখিয়ে লাভ কী?
সরকারি জমির দখলদার উচ্ছেদে সবার আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে চায় তাহলে কোন শক্তিই এর বিপরীতে দাঁড়াতে পারবে না। কাজেই পাবনা মেডিকেল হাসপাতাল কিংবা রেলওয়ের জমি পুনরুদ্ধারে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী ও জলাশয়ের দখলদার উচ্ছেদে যেভাবে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি পুনরুদ্ধারেও একই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।