করোনা মহামারীর কারণে নতুন করে এমনিতেই নানা সংকটে পড়েছে পথশিশুরা। শুধু সংক্রমণের ঝুঁকিই নয়, বেশিরভাগ দোকানপাট, অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় কাজের সুযোগও কমে গেছে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।
করোনার দুঃসময়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। একসঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে থাকার কারণে এ শিশুদের করোনা ঝুঁকি অনেক বেশি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকে বলে সেই আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে তীব্রভাবে। তাই এখনই এদের নিরাপদ স্থানে রাখা জরুরি। তা না হলে এদের মাধ্যমে আরও ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারা যেন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
ভয়ের কারণ হলো, সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়, সে সম্পর্কে পথশিশুদের কোন ধারণা নেই। তারা এ বিষয়ে সচেতনও নয়। শরীর খারাপ লাগলে কী করতে হবে, তা নিয়ে তারা ভাবেও না। দেশে পথশিশুদের জন্য আলাদা কোন চিকিৎসার উদ্যোগ নেই। তাদের পক্ষে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নেয়াও ভীষণ কঠিন। অন্যদিকে সরকারি বা বেসরকারি কোন পর্যায়েই পথশিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রাখা হয়নি। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তারা যেন চিকিৎসাসেবা পেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এসব শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তবে শুধু রাষ্ট্র বা সরকারের একার পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এ কঠিন সময়ে যেন সব পথশিশু খাবার পায়, আশ্রয় পায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। পথশিশুদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত শেল্টার হোমের ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার, ১৭ মে ২০২১
করোনা মহামারীর কারণে নতুন করে এমনিতেই নানা সংকটে পড়েছে পথশিশুরা। শুধু সংক্রমণের ঝুঁকিই নয়, বেশিরভাগ দোকানপাট, অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় কাজের সুযোগও কমে গেছে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।
করোনার দুঃসময়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। একসঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে থাকার কারণে এ শিশুদের করোনা ঝুঁকি অনেক বেশি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকে বলে সেই আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে তীব্রভাবে। তাই এখনই এদের নিরাপদ স্থানে রাখা জরুরি। তা না হলে এদের মাধ্যমে আরও ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারা যেন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
ভয়ের কারণ হলো, সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়, সে সম্পর্কে পথশিশুদের কোন ধারণা নেই। তারা এ বিষয়ে সচেতনও নয়। শরীর খারাপ লাগলে কী করতে হবে, তা নিয়ে তারা ভাবেও না। দেশে পথশিশুদের জন্য আলাদা কোন চিকিৎসার উদ্যোগ নেই। তাদের পক্ষে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নেয়াও ভীষণ কঠিন। অন্যদিকে সরকারি বা বেসরকারি কোন পর্যায়েই পথশিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রাখা হয়নি। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তারা যেন চিকিৎসাসেবা পেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এসব শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তবে শুধু রাষ্ট্র বা সরকারের একার পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এ কঠিন সময়ে যেন সব পথশিশু খাবার পায়, আশ্রয় পায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। পথশিশুদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত শেল্টার হোমের ব্যবস্থা করতে হবে।