alt

সম্পাদকীয়

করোনা-রোগীদের খাবারের বরাদ্দ যায় কোথায়

: শুক্রবার, ০৯ জুলাই ২০২১

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীদের খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা রোগীদের তিনবেলা পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দেয়ার জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু সেখানে গড়ে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা মূল্যের খাবার দেওয়া হয়। তাছাড়া ‘পুষ্টিসমৃদ্ধ’ খাবারের পরিবর্তে নিম্নমানের এবং খাওয়ার অযোগ্য খাবার দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, করোনা রোগীদের জন্য খাবার বরাদ্দের এ টাকা তাহলে খরচ হচ্ছে কোথায়। শুধু রংপুর নয় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য খাতের যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি তার আরেকটি নজির হচ্ছে খাবার সরবরাহের এ অনিয়ম।

মাথায় পচন ধরলে যে সেটা সর্বত্র বিস্তৃত হবে- তা সবার জানা কথা। করোনার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। আর দেশের মানুষ বিশেষ করে, করোনা আক্রান্ত রোগী ও স্বজনরা প্রতি পদে পদে এর খেসারত দিয়ে যাচ্ছে। করোনা টেস্ট করতে গেলে হয়রানি, রিপোর্ট পেতে ভোগান্তি, রিপোর্টের ফল নিয়ে সংশয়, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও শয্যা সংকট এর মধ্যে অন্যতম। করোনা আক্রান্ত হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ছুটতে হয় জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে। কিন্তু সেখানে গেলে সরকারি হাসপাতালের শয্যা খালি পাওয়া যায় না। তাদের জায়গা হয় হাসপাতালের মেঝে বা বারান্দায়। চিকিৎসক, সেবক, আইসিইউ, অক্সিজেন এবং বিনামূল্যে ওষুধপত্রের অভাব তো রয়েছেই।

এরপর অনেক কাঠখড় পুরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার সৌভাগ্য যাদের হয় তাদের শুরু হয় খাবারের ভোগান্তি। একে তো রোগীর খাবার কম দেওয়া হয়, আবার যা দেওয়া হয় তার মান ভালো না। দেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংকট রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা, আইসিইউ, অক্সিজেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটের কারণ বোঝা যায়। কিন্তু খাবার কম দেয়ার কারণ কী? দেশে কি খাদ্য সংকট আছে? খাবারের জন্য বরাদ্দ জনপ্রতি ৩০০ টাকা। অথচ খরচ করা হয় ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। কোথাও কোথাও তার চেয়েও কম মাত্র ৬০ থেকে ৭০ টাকা! বাকি টাকা তাহলে যায় কোথায়?

রংপুরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতালে সাধারণত ২০-২৫ রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট এবং অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। তাদের খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। নিম্নমানের খাবার দেওয়ায় অনেকে হাসপাতালের খাবার নেন না। সেখানে একদিনে সর্বোচ্চ ১০-১৫ জনের খাবার সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রতিদিন ১০০ জনের খাবারের বরাদ্দ নেওয়া হয়। এখানেও রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। অভিযোগ আছে ওই টাকা খাদ্যসরবরাহকরী এবং হাসপাতালের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হয়।

এ শুধু একটি বা দুটি হাসপাতালের চিত্র নয়। প্রায় সব সরকারি হাসপাতালেরই একই অবস্থা। রোগীর খাবার নিয়ে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। যথাযথভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বরাদ্দ অনুযায়ী মানসম্মত খাবার রোগীরা পাচ্ছে কিনা- সেটা মনিটর করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

করোনা-রোগীদের খাবারের বরাদ্দ যায় কোথায়

শুক্রবার, ০৯ জুলাই ২০২১

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীদের খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা রোগীদের তিনবেলা পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দেয়ার জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু সেখানে গড়ে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা মূল্যের খাবার দেওয়া হয়। তাছাড়া ‘পুষ্টিসমৃদ্ধ’ খাবারের পরিবর্তে নিম্নমানের এবং খাওয়ার অযোগ্য খাবার দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, করোনা রোগীদের জন্য খাবার বরাদ্দের এ টাকা তাহলে খরচ হচ্ছে কোথায়। শুধু রংপুর নয় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য খাতের যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি তার আরেকটি নজির হচ্ছে খাবার সরবরাহের এ অনিয়ম।

মাথায় পচন ধরলে যে সেটা সর্বত্র বিস্তৃত হবে- তা সবার জানা কথা। করোনার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। আর দেশের মানুষ বিশেষ করে, করোনা আক্রান্ত রোগী ও স্বজনরা প্রতি পদে পদে এর খেসারত দিয়ে যাচ্ছে। করোনা টেস্ট করতে গেলে হয়রানি, রিপোর্ট পেতে ভোগান্তি, রিপোর্টের ফল নিয়ে সংশয়, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও শয্যা সংকট এর মধ্যে অন্যতম। করোনা আক্রান্ত হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ছুটতে হয় জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে। কিন্তু সেখানে গেলে সরকারি হাসপাতালের শয্যা খালি পাওয়া যায় না। তাদের জায়গা হয় হাসপাতালের মেঝে বা বারান্দায়। চিকিৎসক, সেবক, আইসিইউ, অক্সিজেন এবং বিনামূল্যে ওষুধপত্রের অভাব তো রয়েছেই।

এরপর অনেক কাঠখড় পুরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার সৌভাগ্য যাদের হয় তাদের শুরু হয় খাবারের ভোগান্তি। একে তো রোগীর খাবার কম দেওয়া হয়, আবার যা দেওয়া হয় তার মান ভালো না। দেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংকট রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা, আইসিইউ, অক্সিজেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটের কারণ বোঝা যায়। কিন্তু খাবার কম দেয়ার কারণ কী? দেশে কি খাদ্য সংকট আছে? খাবারের জন্য বরাদ্দ জনপ্রতি ৩০০ টাকা। অথচ খরচ করা হয় ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। কোথাও কোথাও তার চেয়েও কম মাত্র ৬০ থেকে ৭০ টাকা! বাকি টাকা তাহলে যায় কোথায়?

রংপুরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতালে সাধারণত ২০-২৫ রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট এবং অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। তাদের খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। নিম্নমানের খাবার দেওয়ায় অনেকে হাসপাতালের খাবার নেন না। সেখানে একদিনে সর্বোচ্চ ১০-১৫ জনের খাবার সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রতিদিন ১০০ জনের খাবারের বরাদ্দ নেওয়া হয়। এখানেও রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। অভিযোগ আছে ওই টাকা খাদ্যসরবরাহকরী এবং হাসপাতালের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হয়।

এ শুধু একটি বা দুটি হাসপাতালের চিত্র নয়। প্রায় সব সরকারি হাসপাতালেরই একই অবস্থা। রোগীর খাবার নিয়ে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। যথাযথভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বরাদ্দ অনুযায়ী মানসম্মত খাবার রোগীরা পাচ্ছে কিনা- সেটা মনিটর করতে হবে।

back to top