alt

সম্পাদকীয়

ট্রাফিক পুলিশদের শ্বাসতন্ত্র ও শ্রবণশক্তি

বায়ু ও শব্দদূষণ রোধে চাই সদিচ্ছা

: সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনরত ৮৪ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যই শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদের। শুধু তাই নয়, শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণ সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে অনেককে। ৬৪ শতাংশ ট্রাফিক সদস্যের শ্রবণ শক্তি কমে গেছে। সম্প্রতি ভারতের জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে তার মধ্যে পুষ্টির পরই পরিবেশের অবস্থান। বায়ু ও শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে দীর্ঘদিন কাটালে মানুষের শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। এমনকি বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কে থাকতে হয়। এ কারণে তারা বায়ু ও শব্দ দূষণের প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছেন। তাদের মতো অন্যান্য শ্রেণীপেশার অনেক মানুষকেও প্রতিনিয়ত একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। রাজধানীতে বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে প্রায় দুই কোটি বাসিন্দা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শহর অঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং যেখানে নগরায়নের প্রক্রিয়া চলছে, সেসব জায়গার বাসিন্দাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বেশি হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক জার্নাল- কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বায়ু দূষণকে ‘মহামারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বড় প্রকল্পের কাজ, যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানা, আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়াই মূলত বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। আর গাড়ির হর্ন, নির্মাণ কাজ, মাইক বা সউন্ডবক্সের ব্যবহার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ। বায়ু ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে যে আইন রয়েছে তা কোন ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না।

উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণের একটি যোগসূত্র রয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যায় না। আবার নির্বিচারে পরিবেশের দূষণও কাম্য নয়। তবে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজধানীবাসীকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। উন্নয়ন মানে এটা নয় যে, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের যথেচ্ছ দূষণ ঘটবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায় সেই পথ খুঁজতে হবে। মানুষকেই যদি রক্ষা করা না যায়, তাদের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে সেই উন্নয়ন দিয়ে কী হবে?

দূষণ রোধে কী কী করতে হবে সেটা সংশ্লিষ্টদের জানা আছে। জরুরি হচ্ছে করণীয় কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। সদিচ্ছা থাকলে, সরকার আন্তরিক হলে বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ট্রাফিক পুলিশদের শ্বাসতন্ত্র ও শ্রবণশক্তি

বায়ু ও শব্দদূষণ রোধে চাই সদিচ্ছা

সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনরত ৮৪ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যই শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদের। শুধু তাই নয়, শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণ সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে অনেককে। ৬৪ শতাংশ ট্রাফিক সদস্যের শ্রবণ শক্তি কমে গেছে। সম্প্রতি ভারতের জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে তার মধ্যে পুষ্টির পরই পরিবেশের অবস্থান। বায়ু ও শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে দীর্ঘদিন কাটালে মানুষের শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। এমনকি বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কে থাকতে হয়। এ কারণে তারা বায়ু ও শব্দ দূষণের প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছেন। তাদের মতো অন্যান্য শ্রেণীপেশার অনেক মানুষকেও প্রতিনিয়ত একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। রাজধানীতে বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে প্রায় দুই কোটি বাসিন্দা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শহর অঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং যেখানে নগরায়নের প্রক্রিয়া চলছে, সেসব জায়গার বাসিন্দাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বেশি হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক জার্নাল- কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বায়ু দূষণকে ‘মহামারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বড় প্রকল্পের কাজ, যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানা, আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়াই মূলত বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। আর গাড়ির হর্ন, নির্মাণ কাজ, মাইক বা সউন্ডবক্সের ব্যবহার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ। বায়ু ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে যে আইন রয়েছে তা কোন ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না।

উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণের একটি যোগসূত্র রয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যায় না। আবার নির্বিচারে পরিবেশের দূষণও কাম্য নয়। তবে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজধানীবাসীকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। উন্নয়ন মানে এটা নয় যে, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের যথেচ্ছ দূষণ ঘটবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায় সেই পথ খুঁজতে হবে। মানুষকেই যদি রক্ষা করা না যায়, তাদের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে সেই উন্নয়ন দিয়ে কী হবে?

দূষণ রোধে কী কী করতে হবে সেটা সংশ্লিষ্টদের জানা আছে। জরুরি হচ্ছে করণীয় কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। সদিচ্ছা থাকলে, সরকার আন্তরিক হলে বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

back to top