ট্রাফিক পুলিশদের শ্বাসতন্ত্র ও শ্রবণশক্তি
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনরত ৮৪ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যই শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদের। শুধু তাই নয়, শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণ সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে অনেককে। ৬৪ শতাংশ ট্রাফিক সদস্যের শ্রবণ শক্তি কমে গেছে। সম্প্রতি ভারতের জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে তার মধ্যে পুষ্টির পরই পরিবেশের অবস্থান। বায়ু ও শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে দীর্ঘদিন কাটালে মানুষের শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। এমনকি বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কে থাকতে হয়। এ কারণে তারা বায়ু ও শব্দ দূষণের প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছেন। তাদের মতো অন্যান্য শ্রেণীপেশার অনেক মানুষকেও প্রতিনিয়ত একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। রাজধানীতে বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে প্রায় দুই কোটি বাসিন্দা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শহর অঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং যেখানে নগরায়নের প্রক্রিয়া চলছে, সেসব জায়গার বাসিন্দাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বেশি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক জার্নাল- কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বায়ু দূষণকে ‘মহামারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বড় প্রকল্পের কাজ, যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানা, আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়াই মূলত বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। আর গাড়ির হর্ন, নির্মাণ কাজ, মাইক বা সউন্ডবক্সের ব্যবহার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ। বায়ু ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে যে আইন রয়েছে তা কোন ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না।
উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণের একটি যোগসূত্র রয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যায় না। আবার নির্বিচারে পরিবেশের দূষণও কাম্য নয়। তবে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজধানীবাসীকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। উন্নয়ন মানে এটা নয় যে, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের যথেচ্ছ দূষণ ঘটবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায় সেই পথ খুঁজতে হবে। মানুষকেই যদি রক্ষা করা না যায়, তাদের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে সেই উন্নয়ন দিয়ে কী হবে?
দূষণ রোধে কী কী করতে হবে সেটা সংশ্লিষ্টদের জানা আছে। জরুরি হচ্ছে করণীয় কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। সদিচ্ছা থাকলে, সরকার আন্তরিক হলে বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ট্রাফিক পুলিশদের শ্বাসতন্ত্র ও শ্রবণশক্তি
সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনরত ৮৪ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যই শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদের। শুধু তাই নয়, শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণ সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে অনেককে। ৬৪ শতাংশ ট্রাফিক সদস্যের শ্রবণ শক্তি কমে গেছে। সম্প্রতি ভারতের জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে তার মধ্যে পুষ্টির পরই পরিবেশের অবস্থান। বায়ু ও শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে দীর্ঘদিন কাটালে মানুষের শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। এমনকি বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কে থাকতে হয়। এ কারণে তারা বায়ু ও শব্দ দূষণের প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছেন। তাদের মতো অন্যান্য শ্রেণীপেশার অনেক মানুষকেও প্রতিনিয়ত একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। রাজধানীতে বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে প্রায় দুই কোটি বাসিন্দা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শহর অঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং যেখানে নগরায়নের প্রক্রিয়া চলছে, সেসব জায়গার বাসিন্দাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বেশি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক জার্নাল- কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বায়ু দূষণকে ‘মহামারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বড় প্রকল্পের কাজ, যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানা, আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়াই মূলত বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। আর গাড়ির হর্ন, নির্মাণ কাজ, মাইক বা সউন্ডবক্সের ব্যবহার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ। বায়ু ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে যে আইন রয়েছে তা কোন ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না।
উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণের একটি যোগসূত্র রয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যায় না। আবার নির্বিচারে পরিবেশের দূষণও কাম্য নয়। তবে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজধানীবাসীকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। উন্নয়ন মানে এটা নয় যে, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের যথেচ্ছ দূষণ ঘটবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায় সেই পথ খুঁজতে হবে। মানুষকেই যদি রক্ষা করা না যায়, তাদের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে সেই উন্নয়ন দিয়ে কী হবে?
দূষণ রোধে কী কী করতে হবে সেটা সংশ্লিষ্টদের জানা আছে। জরুরি হচ্ছে করণীয় কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। সদিচ্ছা থাকলে, সরকার আন্তরিক হলে বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।