সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানো হচ্ছে দফায় দফায়। এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার শিকার হন ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। গত সাড়ে নয় বছরে তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দেয়া যায়নি। তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত র্যাব বারবারই প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, আর আদালত বারবারই নতুন তারিখ ধার্য করে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটা এবারও করতে পারেনি র্যাব। আদালত যথারীতি নতুন তারিখ ধার্য করে দিয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। এ নিয়ে ৮১ বারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পেছাল।
আদালত র্যাবকে উক্ত হত্যা মামলার তদন্ত করতে বলেছিলেন। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের কাছ থেকে র্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। দায়িত্ব বদলেছে শুধু, তদন্ত প্রতিবেদন আর জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার বাড়ানোর ফলে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
দফায় দফায় সময় নিয়েও র্যাব কেন প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না সেটা জানা জরুরি। প্রতিবেদন দেয়ার মতো সক্ষমতা তাদের আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তারা যদি সক্ষম না হয় তাহলে আদালতকে সে কথা জানাতে পারে। তখন আদালত সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেন। হত্যা রহস্যের কূলকিনারা করা না গেলে জনসম্মখে সেটা বলা হোক।
প্রতিবেদন জমা দেয়া না হলে আবার তদন্তের দায়িত্বও ছাড়া না হলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুরাহা হবে কী করে। হত্যাকারীর ধরা পড়বে কীভাবে আর নিহতদের স্বজনরা ন্যায়বিচার পাবেন কীভাবে।
সাগর-রুনি যে হত্যার শিকার হয়েছেন তাতে সন্দের অবকাশ নেই। কেউ না কেউ এ হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে। হত্যাকারীদের হদিস কেন এতদিনেও মেলেনি, হত্যার কারণ কেন জানা যায়নি- এসব প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারকেই দিতে হবে।
আমরা বলতে চাই, সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত আদালতে দাখিল করতে হবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটা অত্যন্ত জরুরি।
বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানো হচ্ছে দফায় দফায়। এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার শিকার হন ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। গত সাড়ে নয় বছরে তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দেয়া যায়নি। তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত র্যাব বারবারই প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, আর আদালত বারবারই নতুন তারিখ ধার্য করে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটা এবারও করতে পারেনি র্যাব। আদালত যথারীতি নতুন তারিখ ধার্য করে দিয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। এ নিয়ে ৮১ বারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পেছাল।
আদালত র্যাবকে উক্ত হত্যা মামলার তদন্ত করতে বলেছিলেন। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের কাছ থেকে র্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। দায়িত্ব বদলেছে শুধু, তদন্ত প্রতিবেদন আর জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার বাড়ানোর ফলে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
দফায় দফায় সময় নিয়েও র্যাব কেন প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না সেটা জানা জরুরি। প্রতিবেদন দেয়ার মতো সক্ষমতা তাদের আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তারা যদি সক্ষম না হয় তাহলে আদালতকে সে কথা জানাতে পারে। তখন আদালত সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেন। হত্যা রহস্যের কূলকিনারা করা না গেলে জনসম্মখে সেটা বলা হোক।
প্রতিবেদন জমা দেয়া না হলে আবার তদন্তের দায়িত্বও ছাড়া না হলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুরাহা হবে কী করে। হত্যাকারীর ধরা পড়বে কীভাবে আর নিহতদের স্বজনরা ন্যায়বিচার পাবেন কীভাবে।
সাগর-রুনি যে হত্যার শিকার হয়েছেন তাতে সন্দের অবকাশ নেই। কেউ না কেউ এ হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে। হত্যাকারীদের হদিস কেন এতদিনেও মেলেনি, হত্যার কারণ কেন জানা যায়নি- এসব প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারকেই দিতে হবে।
আমরা বলতে চাই, সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত আদালতে দাখিল করতে হবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটা অত্যন্ত জরুরি।