alt

সম্পাদকীয়

দুদকের কাজ কঠিন তবে অসম্ভব নয়

: মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন ও একটি আইনের ওপর নির্ভর করে দুর্নীতি দমন করা দুরূহ এবং এতে করে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক দূরে থাকবে। গত রোববার দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেছেন।

দুদকের সীমাবদ্ধতা ও অসহায়ত্বের কথা অতীতেও অনেকবার বলা হয়েছে। তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান কমিশনকে নখদন্তহীন বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন। বর্তমান চেয়ারম্যান যে কথা বলেছেন তার অর্থ কি এই যে, সর্ববিস্তারি দুর্নীতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কিছুতেই আর এর লাগাম টানা যাচ্ছে না।

দেশে দুর্নীতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। দুর্নীতির আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এক সময় ছিল শীর্ষে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্দশতম। এ অবস্থানে থেকেও দেশে লক্ষ্যযোগ্য দুর্নীতি হচ্ছে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হয়। তবে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কতটা আন্তরিক সেই প্রশ্ন রয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, দুর্নীতি প্রমাণ করা ‘অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার’।

আমরা বলতে চাই, দুদকের কাজ কঠিন তবে অসম্ভব নয়। দুদক স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। তারা কীভাবে কাজ করবে সেটা আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। মানি লন্ডারিংয়ের মতো কিছু বিষয়ে তাদের আইনি এখতিয়ার নেই সেটা না হয় বোঝা গেল। প্রশ্ন হচ্ছে যেসব ক্ষেত্রে তাদের আইনি এখতিয়ার আছে সেসব ক্ষেত্রে তারা যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা। বিদ্যমান আইনের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করা হলেও সমাজে দুর্নীতিবিরোধী একটি বার্তা দেয়া সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি।

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক যে একেবারে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে তা নয়। দাবি করা হয়, কমিশন ছোট-বড় সব দুর্নীতি সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখে। বাস্তবতা হচ্ছে, দুর্নীতির রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে। রাঘববোয়ালদের সবার বিরুদ্ধে না পারুক, দু-একজনের বিরুদ্ধে তো তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। অতীতে আদালত দুদকের উদ্দেশ্যে এমনও বলেছে যে, ‘বড় দুর্নীতিবাজদের ছাড় দিয়ে ছোট দুর্নীতিবাজকে ধরলে হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে নজির সৃষ্টি করার দায়িত্ব দুদকের। সেটা না করে মানুষকে দুর্নীতিবাজদের বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তারা দায় সারতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বলতে চাই, আইনি সীমার মধ্যে থেকে দুদককে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। তারা সৎসাহস নিয়ে আইন মেনে কাজ করলে দুর্নীতির মুখে অন্তত লাগাম টানা সম্ভব হবে। শুধু চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়ে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হলে দুদককে আরো কঠোর হতে হবে। দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

দুদকের কাজ কঠিন তবে অসম্ভব নয়

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন ও একটি আইনের ওপর নির্ভর করে দুর্নীতি দমন করা দুরূহ এবং এতে করে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক দূরে থাকবে। গত রোববার দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেছেন।

দুদকের সীমাবদ্ধতা ও অসহায়ত্বের কথা অতীতেও অনেকবার বলা হয়েছে। তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান কমিশনকে নখদন্তহীন বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন। বর্তমান চেয়ারম্যান যে কথা বলেছেন তার অর্থ কি এই যে, সর্ববিস্তারি দুর্নীতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কিছুতেই আর এর লাগাম টানা যাচ্ছে না।

দেশে দুর্নীতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। দুর্নীতির আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এক সময় ছিল শীর্ষে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্দশতম। এ অবস্থানে থেকেও দেশে লক্ষ্যযোগ্য দুর্নীতি হচ্ছে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হয়। তবে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কতটা আন্তরিক সেই প্রশ্ন রয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, দুর্নীতি প্রমাণ করা ‘অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার’।

আমরা বলতে চাই, দুদকের কাজ কঠিন তবে অসম্ভব নয়। দুদক স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। তারা কীভাবে কাজ করবে সেটা আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। মানি লন্ডারিংয়ের মতো কিছু বিষয়ে তাদের আইনি এখতিয়ার নেই সেটা না হয় বোঝা গেল। প্রশ্ন হচ্ছে যেসব ক্ষেত্রে তাদের আইনি এখতিয়ার আছে সেসব ক্ষেত্রে তারা যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা। বিদ্যমান আইনের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করা হলেও সমাজে দুর্নীতিবিরোধী একটি বার্তা দেয়া সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি।

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক যে একেবারে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে তা নয়। দাবি করা হয়, কমিশন ছোট-বড় সব দুর্নীতি সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখে। বাস্তবতা হচ্ছে, দুর্নীতির রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে। রাঘববোয়ালদের সবার বিরুদ্ধে না পারুক, দু-একজনের বিরুদ্ধে তো তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। অতীতে আদালত দুদকের উদ্দেশ্যে এমনও বলেছে যে, ‘বড় দুর্নীতিবাজদের ছাড় দিয়ে ছোট দুর্নীতিবাজকে ধরলে হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে নজির সৃষ্টি করার দায়িত্ব দুদকের। সেটা না করে মানুষকে দুর্নীতিবাজদের বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তারা দায় সারতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বলতে চাই, আইনি সীমার মধ্যে থেকে দুদককে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। তারা সৎসাহস নিয়ে আইন মেনে কাজ করলে দুর্নীতির মুখে অন্তত লাগাম টানা সম্ভব হবে। শুধু চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়ে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হলে দুদককে আরো কঠোর হতে হবে। দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top