মাহমুদুল হাসান ইজাজ
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের প্রত্যন্ত অঞ্চল দ্বীপজেলা ভোলা। আয়তনে ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিমি. এই দ্বীপে বসবাসকারী মোট লোকসংখ্যা ২০,৩৭,২০১ জন। ৭টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই জেলার মানুষের শিক্ষার হার ৪৭%। তবে নিরক্ষর লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, অঙ্কের হিসেবে তা দাঁড়ায় ৮,২৮,০৮০ জনে। প্রত্যন্ত এই জনপদে মোট কলেজের সংখ্যা ৩৭টি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭৫টি। তবে এই জেলায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য নেই কোন পাবলিক অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নেই কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর এই জেলার প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বেশ বেগ পোহাতে হয় উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় এই জনপদের বাহিরে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম অথবা দেশের যে কোন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। মেয়েদের বেলায় পরিবারের সঙ্গে তা রীতিমতো যুদ্ধ বলা চলে, অনেক আকুতি মিনতি করার পর খুব কম সংখ্যক মেয়েরই সুযোগ হয় উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।
অপার সম্ভাবনাময় কৃষি ও মৎস্যনির্ভর এই জনপদে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুবই যুগোপযোগী। বিরূপ আবহাওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা পেতে চরম দুর্বিষহ পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। কারণ, যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী পথ হওয়ায় বিরূপ আবহাওয়ায় ভালো চিকিৎসার জন্য ঢাকা, বরিশাল যাওয়ার সুযোগ হয় না মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের, কিন্তু একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ থাকলে সেই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতো ভোলাবাসী। সর্বোপরি উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এবং উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় ভোলা জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ এখন সময়ের দাবি।
মাহমুদুল হাসান ইজাজ
মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের প্রত্যন্ত অঞ্চল দ্বীপজেলা ভোলা। আয়তনে ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিমি. এই দ্বীপে বসবাসকারী মোট লোকসংখ্যা ২০,৩৭,২০১ জন। ৭টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই জেলার মানুষের শিক্ষার হার ৪৭%। তবে নিরক্ষর লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, অঙ্কের হিসেবে তা দাঁড়ায় ৮,২৮,০৮০ জনে। প্রত্যন্ত এই জনপদে মোট কলেজের সংখ্যা ৩৭টি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭৫টি। তবে এই জেলায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য নেই কোন পাবলিক অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নেই কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর এই জেলার প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বেশ বেগ পোহাতে হয় উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় এই জনপদের বাহিরে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম অথবা দেশের যে কোন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। মেয়েদের বেলায় পরিবারের সঙ্গে তা রীতিমতো যুদ্ধ বলা চলে, অনেক আকুতি মিনতি করার পর খুব কম সংখ্যক মেয়েরই সুযোগ হয় উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।
অপার সম্ভাবনাময় কৃষি ও মৎস্যনির্ভর এই জনপদে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুবই যুগোপযোগী। বিরূপ আবহাওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা পেতে চরম দুর্বিষহ পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। কারণ, যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী পথ হওয়ায় বিরূপ আবহাওয়ায় ভালো চিকিৎসার জন্য ঢাকা, বরিশাল যাওয়ার সুযোগ হয় না মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের, কিন্তু একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ থাকলে সেই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতো ভোলাবাসী। সর্বোপরি উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এবং উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় ভোলা জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ এখন সময়ের দাবি।