ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরিব, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে সারা দেশেই ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের তালিকা করা থেকে শুরু করে চাল বিতরণ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিন যত যাচ্ছে অভিযোগের পাল্লা তত ভারি হচ্ছে। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন। সেখানে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চাল বিতরণেই নয়, সরকারের দারিদ্র্য নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প, বিশেষ সম্প্রদায় বা পেশার জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজেই এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিধবা না হয়ে ভাতা উত্তোলন, ধনী হয়ে ভূমিহীনের জমি পাওয়াসহ নানা অভিযোগের খবর প্রতিনিয়ত পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়। সব সময়ই এসব অভিযোগের তীর এলাকার নির্বাচিত জনপ্রনিধিসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দিকে।
বিভিন্ন কার্যক্রমের উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে পাঠিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা ধরে ধরে প্রত্যেক উপকারভোগীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা। তাই কোন জনপ্রতিনিধির দেয়া তালিকায় বড় ধরনের অসংগতি পাওয়া না গেলে সেটি অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেগুলো প্রকৃত উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। সঙ্গে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। যেমনটা করেছেন নওগাঁর চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তারা জনকল্যাণে কাজ করবেন-এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে জনগণকে ঠকিয়ে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত বলে মনে হচ্ছে এক ধরনের জনিপ্রতিনিধিদের। এ কারণে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়ন করেন, তা অর্জিত হয় না। প্রকৃত ভুক্তভোগীরা সহায়তা পান না। দেশে এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি বহুদিন ধরেই চলে আসছে। এসব বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নওগাঁর চন্ডিপুরে ভিজিএফের চাল বিতরণে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরিব, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে সারা দেশেই ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের তালিকা করা থেকে শুরু করে চাল বিতরণ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিন যত যাচ্ছে অভিযোগের পাল্লা তত ভারি হচ্ছে। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন। সেখানে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চাল বিতরণেই নয়, সরকারের দারিদ্র্য নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প, বিশেষ সম্প্রদায় বা পেশার জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজেই এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিধবা না হয়ে ভাতা উত্তোলন, ধনী হয়ে ভূমিহীনের জমি পাওয়াসহ নানা অভিযোগের খবর প্রতিনিয়ত পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়। সব সময়ই এসব অভিযোগের তীর এলাকার নির্বাচিত জনপ্রনিধিসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দিকে।
বিভিন্ন কার্যক্রমের উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে পাঠিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা ধরে ধরে প্রত্যেক উপকারভোগীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা। তাই কোন জনপ্রতিনিধির দেয়া তালিকায় বড় ধরনের অসংগতি পাওয়া না গেলে সেটি অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেগুলো প্রকৃত উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। সঙ্গে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। যেমনটা করেছেন নওগাঁর চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তারা জনকল্যাণে কাজ করবেন-এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে জনগণকে ঠকিয়ে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত বলে মনে হচ্ছে এক ধরনের জনিপ্রতিনিধিদের। এ কারণে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়ন করেন, তা অর্জিত হয় না। প্রকৃত ভুক্তভোগীরা সহায়তা পান না। দেশে এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি বহুদিন ধরেই চলে আসছে। এসব বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নওগাঁর চন্ডিপুরে ভিজিএফের চাল বিতরণে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।