দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেয়ার লক্ষ্যে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করে সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, যাদের কাছে এই কার্ড আছে তারা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য সরকার নির্ধারিত দামে কিনতে পারবেন।
ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে সচ্ছল অনেক মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের এক শ্রেণীর নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তবে এসব অভিযোগ আমলে নেয়া বা এর প্রতিকার করা হয়নি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) করা এক এক সমীক্ষা থেকে জান গেছে যে, সরকারের ‘আড়াই হাজার টাকা নগদ সহায়তা কর্মসূচি’র অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পাননি। আর এসব মানুষের ফ্যামিলি কার্ড না পাওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে অনিয়ম আর দুর্নীতি। টিআইবি বলছে, ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, ব্যবস্থাপনা, নির্দেশনা এবং জবাবদিহির ঘাটতি ছিল।
হতদরিদ্র ব্যক্তিরা বাদ পড়লে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ হবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকার বিদ্যমান আর্থিক সংকটে হতদরিদ্রদের সাহায্য করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই সাহায্যের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ যাচ্ছে সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছে। রাজনৈতিক প্রভাবের জোরে তারা দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত পণ্য কম মূল্যে কিনে নিচ্ছেন। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, একই পরিবারের একাধিক সদস্য ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। ফলে হতদরিদ্রদের দুর্দশা কাটছে না।
অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণত ভুক্তভোগীরা মুখ খোলেন না। কারণ অভিযোগ জানিয়ে সাধারণত প্রতিকার মেলে না। আবার অভিযোগকারীদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
আমরা চাই, প্রকৃত দরিদ্র মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের সুবিধা পাক। যারা ছলচাতুরী করে কার্ড পেয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কার্ড সুবিধা বাতিল করতে হবে। ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে যে বা যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। সরকারকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, গরিবের হক মেরে খেলে তার সাজা পেতে হয়।
শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেয়ার লক্ষ্যে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করে সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, যাদের কাছে এই কার্ড আছে তারা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য সরকার নির্ধারিত দামে কিনতে পারবেন।
ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে সচ্ছল অনেক মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের এক শ্রেণীর নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তবে এসব অভিযোগ আমলে নেয়া বা এর প্রতিকার করা হয়নি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) করা এক এক সমীক্ষা থেকে জান গেছে যে, সরকারের ‘আড়াই হাজার টাকা নগদ সহায়তা কর্মসূচি’র অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পাননি। আর এসব মানুষের ফ্যামিলি কার্ড না পাওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে অনিয়ম আর দুর্নীতি। টিআইবি বলছে, ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, ব্যবস্থাপনা, নির্দেশনা এবং জবাবদিহির ঘাটতি ছিল।
হতদরিদ্র ব্যক্তিরা বাদ পড়লে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ হবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকার বিদ্যমান আর্থিক সংকটে হতদরিদ্রদের সাহায্য করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই সাহায্যের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ যাচ্ছে সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছে। রাজনৈতিক প্রভাবের জোরে তারা দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত পণ্য কম মূল্যে কিনে নিচ্ছেন। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, একই পরিবারের একাধিক সদস্য ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। ফলে হতদরিদ্রদের দুর্দশা কাটছে না।
অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণত ভুক্তভোগীরা মুখ খোলেন না। কারণ অভিযোগ জানিয়ে সাধারণত প্রতিকার মেলে না। আবার অভিযোগকারীদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
আমরা চাই, প্রকৃত দরিদ্র মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের সুবিধা পাক। যারা ছলচাতুরী করে কার্ড পেয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কার্ড সুবিধা বাতিল করতে হবে। ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে যে বা যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। সরকারকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, গরিবের হক মেরে খেলে তার সাজা পেতে হয়।