alt

সম্পাদকীয়

নার্স সংকট নিরসন করুন

: রোববার, ১৪ মে ২০২৩

বিশ্বজুড়েই নার্সদের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। ‘হেলথ ওয়াচ-বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্সেস ফর হেলথ’-এর এক গবেষণায় জানা গেছে, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার একেবারে কমিয়ে আনতে হলে দক্ষ চিকিৎসকের পাশাপাশি দক্ষ নার্সও প্রয়োজন। দেশে দীর্ঘদিন ধরেই নার্স সংকট রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা কমবেশি ১ লাখ ৮ হাজার। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার নার্সের প্রয়োজন। অথচ দেশে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন মাত্র ৭৭ হাজার।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউওএইচও) মানদ- অনুযায়ী, একটি দেশের প্রতি দশ হাজার মানুষের বিপরীতে নার্স থাকতে হবে ২৩ জন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি দশ হাজার মানুষের বিপরীতে নার্স আছেন মাত্র তিনজন। আর এই কারণে একজন নার্সের কাজে যতটুকু চাপ নেয়ার কথা তার থেকে তাকে ছয়গুণ বেশি চাপ নিতে হচ্ছে। কাজের অতিরিক্ত চাপে দেশের নার্সরা দ্রুতই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কাজের প্রতি উৎসাহও কমতে থাকে একসময়। এর প্রভাব পড়ে চিকিৎসা সেবায়। একজন রোগীকে যতটুকু সেবা দেয়ার কথা ততটুকু একজন নার্স দিতে পারছেন না বলে মনে করেন অনেকে।

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নার্সদের নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। কাজের বাড়তি চাপ তো রয়েছেই। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কাজ করছেন নার্সরা। একদিকে পেশাগত জীবনে তাদের নানা চাপ নিতে হয়। অন্যদিকে সামাজিক ক্ষেত্রেও তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাদের কাছ থেকে যে সেবা নেয়া হয় তার বিপরীতে খুব কম বেতন দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮৬ শতাংশ নার্স অনুপযুক্ত পরিবেশে কাজ করেন। কর্মজীবনে পদোন্নতি পান না ৭০ শতাংশ নার্স। অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্বের কারণেও তারা মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেশাগত কাজ করতে গিয়ে অনেক নার্স মানসিক উদ্বেগে ভোগেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা, কর্মঘণ্টা হ্রাস করা দরকার।

সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সেখানে আসন সংকট রয়েছে। নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তবে সেখানে খরচ বেশি। ফলে এই পেশায় আসতে ইচ্ছুক অনেকের পক্ষেই প্রশিক্ষণ নেয়া সম্ভব হয় না। আমরা বলতে চাই, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষণের ব্যয় মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা দরকার। প্রশিক্ষণ শেষে তারা যখন কাজে যোগ দেবেন তখন তারা যেন জীবিকা নির্বাহের মতো বেতন-ভাতা পায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। নার্সিং পেশা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেবিদ্বারে মহাসড়কের মরা গাছ অপসারণে বিলম্ব কেন

এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

লোকালয়ে বন্যহাতি

নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নিন

বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নাব্য সংকট দূর করুন

সমুদ্রস্নানে পর্যটকের মৃত্যু

হারভেস্টারে ধান কাটায় বেশি টাকা নেয়ার কারণ কী

দরিদ্রদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করুন

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করুন

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভূমিকম্প : ভবিষ্যতের বিপদ মোকাবিলায় টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

নার্স সংকট নিরসন করুন

রোববার, ১৪ মে ২০২৩

বিশ্বজুড়েই নার্সদের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। ‘হেলথ ওয়াচ-বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্সেস ফর হেলথ’-এর এক গবেষণায় জানা গেছে, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার একেবারে কমিয়ে আনতে হলে দক্ষ চিকিৎসকের পাশাপাশি দক্ষ নার্সও প্রয়োজন। দেশে দীর্ঘদিন ধরেই নার্স সংকট রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা কমবেশি ১ লাখ ৮ হাজার। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার নার্সের প্রয়োজন। অথচ দেশে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন মাত্র ৭৭ হাজার।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউওএইচও) মানদ- অনুযায়ী, একটি দেশের প্রতি দশ হাজার মানুষের বিপরীতে নার্স থাকতে হবে ২৩ জন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি দশ হাজার মানুষের বিপরীতে নার্স আছেন মাত্র তিনজন। আর এই কারণে একজন নার্সের কাজে যতটুকু চাপ নেয়ার কথা তার থেকে তাকে ছয়গুণ বেশি চাপ নিতে হচ্ছে। কাজের অতিরিক্ত চাপে দেশের নার্সরা দ্রুতই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কাজের প্রতি উৎসাহও কমতে থাকে একসময়। এর প্রভাব পড়ে চিকিৎসা সেবায়। একজন রোগীকে যতটুকু সেবা দেয়ার কথা ততটুকু একজন নার্স দিতে পারছেন না বলে মনে করেন অনেকে।

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নার্সদের নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। কাজের বাড়তি চাপ তো রয়েছেই। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কাজ করছেন নার্সরা। একদিকে পেশাগত জীবনে তাদের নানা চাপ নিতে হয়। অন্যদিকে সামাজিক ক্ষেত্রেও তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাদের কাছ থেকে যে সেবা নেয়া হয় তার বিপরীতে খুব কম বেতন দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮৬ শতাংশ নার্স অনুপযুক্ত পরিবেশে কাজ করেন। কর্মজীবনে পদোন্নতি পান না ৭০ শতাংশ নার্স। অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্বের কারণেও তারা মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেশাগত কাজ করতে গিয়ে অনেক নার্স মানসিক উদ্বেগে ভোগেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা, কর্মঘণ্টা হ্রাস করা দরকার।

সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সেখানে আসন সংকট রয়েছে। নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তবে সেখানে খরচ বেশি। ফলে এই পেশায় আসতে ইচ্ছুক অনেকের পক্ষেই প্রশিক্ষণ নেয়া সম্ভব হয় না। আমরা বলতে চাই, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষণের ব্যয় মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা দরকার। প্রশিক্ষণ শেষে তারা যখন কাজে যোগ দেবেন তখন তারা যেন জীবিকা নির্বাহের মতো বেতন-ভাতা পায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। নার্সিং পেশা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top