alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষকের নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত

: বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার কাজে নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার সারা দিন বিভিন্ন সড়কে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালানোর জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জড়ো করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর ফেস্টুন টানিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫০ কিলোমিটার হেঁটে প্রধান শিক্ষকের নির্বাচনী প্রচার কাজ চালায়। তিনি শুধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকই নন, ভজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি।

শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা। শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, সেটা নিশ্চিত করাই শিক্ষকের দায়িত্ব। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব আরও বড়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যেন তাকে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, সেই চেষ্টা তাকে চালাতে হয়। কিন্তু তেঁতুলিয়ার ভজনপুরে দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাজনীতিতে নেমেছেন এবং নির্বাচন করছেন। সেখানেই তিনি ক্ষান্ত হননিÑতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে নামিয়েছেন।

একজন শিক্ষক রাজনীতিবিদের মতো আচরণ করতে পারেন কিনা, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর লক্ষ করা যায়নি। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ‘আপনার যা করণীয় আপনি করেন। আমি আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা করছি। আপনি ছেড়ে দেন, বাংলাদেশ দেখুক।’

শিক্ষার মর্ম উপলব্ধি করতে অক্ষম এমন কেউ শিক্ষক হন কী করে। আর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্বই বা পান কী করে, সেটা ভেবে আমরা অবাক হই। এমন বোধ বিবেকহীন তথাকথিত একজন শিক্ষককে দিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালানো সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

শিক্ষকতা পেশায় থেকে বিশেষ করে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সরাসরি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে দাবি উঠেছিল যে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক রাজনীতি করতে পারবেন না। সরকারও তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধে সম্মতি দিয়েছিল।

আমরা বলতে চাই, উক্ত শিক্ষক যেন একজন শিক্ষার্থীকেও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষকের নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত

বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার কাজে নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার সারা দিন বিভিন্ন সড়কে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালানোর জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জড়ো করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর ফেস্টুন টানিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫০ কিলোমিটার হেঁটে প্রধান শিক্ষকের নির্বাচনী প্রচার কাজ চালায়। তিনি শুধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকই নন, ভজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি।

শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা। শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, সেটা নিশ্চিত করাই শিক্ষকের দায়িত্ব। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব আরও বড়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যেন তাকে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, সেই চেষ্টা তাকে চালাতে হয়। কিন্তু তেঁতুলিয়ার ভজনপুরে দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাজনীতিতে নেমেছেন এবং নির্বাচন করছেন। সেখানেই তিনি ক্ষান্ত হননিÑতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে নামিয়েছেন।

একজন শিক্ষক রাজনীতিবিদের মতো আচরণ করতে পারেন কিনা, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর লক্ষ করা যায়নি। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ‘আপনার যা করণীয় আপনি করেন। আমি আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা করছি। আপনি ছেড়ে দেন, বাংলাদেশ দেখুক।’

শিক্ষার মর্ম উপলব্ধি করতে অক্ষম এমন কেউ শিক্ষক হন কী করে। আর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্বই বা পান কী করে, সেটা ভেবে আমরা অবাক হই। এমন বোধ বিবেকহীন তথাকথিত একজন শিক্ষককে দিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালানো সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

শিক্ষকতা পেশায় থেকে বিশেষ করে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সরাসরি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে দাবি উঠেছিল যে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক রাজনীতি করতে পারবেন না। সরকারও তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধে সম্মতি দিয়েছিল।

আমরা বলতে চাই, উক্ত শিক্ষক যেন একজন শিক্ষার্থীকেও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

back to top