পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার কাজে নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার সারা দিন বিভিন্ন সড়কে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালানোর জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জড়ো করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর ফেস্টুন টানিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫০ কিলোমিটার হেঁটে প্রধান শিক্ষকের নির্বাচনী প্রচার কাজ চালায়। তিনি শুধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকই নন, ভজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি।
শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা। শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, সেটা নিশ্চিত করাই শিক্ষকের দায়িত্ব। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব আরও বড়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যেন তাকে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, সেই চেষ্টা তাকে চালাতে হয়। কিন্তু তেঁতুলিয়ার ভজনপুরে দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাজনীতিতে নেমেছেন এবং নির্বাচন করছেন। সেখানেই তিনি ক্ষান্ত হননিÑতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে নামিয়েছেন।
একজন শিক্ষক রাজনীতিবিদের মতো আচরণ করতে পারেন কিনা, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর লক্ষ করা যায়নি। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ‘আপনার যা করণীয় আপনি করেন। আমি আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা করছি। আপনি ছেড়ে দেন, বাংলাদেশ দেখুক।’
শিক্ষার মর্ম উপলব্ধি করতে অক্ষম এমন কেউ শিক্ষক হন কী করে। আর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্বই বা পান কী করে, সেটা ভেবে আমরা অবাক হই। এমন বোধ বিবেকহীন তথাকথিত একজন শিক্ষককে দিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালানো সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
শিক্ষকতা পেশায় থেকে বিশেষ করে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সরাসরি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে দাবি উঠেছিল যে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক রাজনীতি করতে পারবেন না। সরকারও তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধে সম্মতি দিয়েছিল।
আমরা বলতে চাই, উক্ত শিক্ষক যেন একজন শিক্ষার্থীকেও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার কাজে নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার সারা দিন বিভিন্ন সড়কে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালানোর জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জড়ো করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর ফেস্টুন টানিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫০ কিলোমিটার হেঁটে প্রধান শিক্ষকের নির্বাচনী প্রচার কাজ চালায়। তিনি শুধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকই নন, ভজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি।
শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা। শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, সেটা নিশ্চিত করাই শিক্ষকের দায়িত্ব। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব আরও বড়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যেন তাকে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, সেই চেষ্টা তাকে চালাতে হয়। কিন্তু তেঁতুলিয়ার ভজনপুরে দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাজনীতিতে নেমেছেন এবং নির্বাচন করছেন। সেখানেই তিনি ক্ষান্ত হননিÑতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে নামিয়েছেন।
একজন শিক্ষক রাজনীতিবিদের মতো আচরণ করতে পারেন কিনা, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর লক্ষ করা যায়নি। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ‘আপনার যা করণীয় আপনি করেন। আমি আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা করছি। আপনি ছেড়ে দেন, বাংলাদেশ দেখুক।’
শিক্ষার মর্ম উপলব্ধি করতে অক্ষম এমন কেউ শিক্ষক হন কী করে। আর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্বই বা পান কী করে, সেটা ভেবে আমরা অবাক হই। এমন বোধ বিবেকহীন তথাকথিত একজন শিক্ষককে দিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালানো সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
শিক্ষকতা পেশায় থেকে বিশেষ করে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সরাসরি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে দাবি উঠেছিল যে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক রাজনীতি করতে পারবেন না। সরকারও তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধে সম্মতি দিয়েছিল।
আমরা বলতে চাই, উক্ত শিক্ষক যেন একজন শিক্ষার্থীকেও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।