পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও চুক্তির বছর পূর্তিতে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, পাহাড়ে কতটুকু শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে কতটা।
শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং চুক্তির কথা মানুষ যাতে ভুলে যেতে বাধ্য হয়, এ দেশের সরকার সেই বাস্তবতা তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, দেশে যারা শাসনে আছে বা সামনে আসবে, তাদের প্রত্যক্ষ করলে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষীণ সম্ভাবনাও দেখি না।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি। সরকার বলছে, এসব ধারার সিংহভাগই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছ। কতগুলো ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা বলে সরকার।
পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সেটা সত্য। তবে সেখানকার মূল সমস্যা ভূমি নিয়ে টেকসই কোনো সমাধান আজও মেলেনি। ভূমি বিরোধ মেটানো না গেলে চুক্তির মূল উদ্দেশ্য, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অধরাই থেকে যাবে। এটা ছাড়া সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আমরা বলতে চাই, পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। পাহাড়ে দ্বৈত ভূমি বন্দোবস্তি আছে। এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করা জরুরি। ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। সেই আইন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।
পাহাড়ে টেকসই শান্তি স্থাপন করতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু উন্নয় করে বা ভূমি বিরোধ জিইয়ে রেখে সমস্যার কার্যকর সমাধান করা যাবে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিকল্প নেই। এজন্য ভূমি কমিশনকে কার্যকর করা জরুরি। আমরা আশা করব, উক্ত আইনের বিধিমালা দ্রুত তৈরি করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলো দূর করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করলে পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও চুক্তির বছর পূর্তিতে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, পাহাড়ে কতটুকু শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে কতটা।
শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং চুক্তির কথা মানুষ যাতে ভুলে যেতে বাধ্য হয়, এ দেশের সরকার সেই বাস্তবতা তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, দেশে যারা শাসনে আছে বা সামনে আসবে, তাদের প্রত্যক্ষ করলে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষীণ সম্ভাবনাও দেখি না।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি। সরকার বলছে, এসব ধারার সিংহভাগই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছ। কতগুলো ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা বলে সরকার।
পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সেটা সত্য। তবে সেখানকার মূল সমস্যা ভূমি নিয়ে টেকসই কোনো সমাধান আজও মেলেনি। ভূমি বিরোধ মেটানো না গেলে চুক্তির মূল উদ্দেশ্য, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অধরাই থেকে যাবে। এটা ছাড়া সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আমরা বলতে চাই, পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। পাহাড়ে দ্বৈত ভূমি বন্দোবস্তি আছে। এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করা জরুরি। ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। সেই আইন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।
পাহাড়ে টেকসই শান্তি স্থাপন করতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু উন্নয় করে বা ভূমি বিরোধ জিইয়ে রেখে সমস্যার কার্যকর সমাধান করা যাবে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিকল্প নেই। এজন্য ভূমি কমিশনকে কার্যকর করা জরুরি। আমরা আশা করব, উক্ত আইনের বিধিমালা দ্রুত তৈরি করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলো দূর করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করলে পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।