alt

সম্পাদকীয়

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধা দূর করুন

: শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও চুক্তির বছর পূর্তিতে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, পাহাড়ে কতটুকু শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে কতটা।

শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং চুক্তির কথা মানুষ যাতে ভুলে যেতে বাধ্য হয়, এ দেশের সরকার সেই বাস্তবতা তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, দেশে যারা শাসনে আছে বা সামনে আসবে, তাদের প্রত্যক্ষ করলে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষীণ সম্ভাবনাও দেখি না।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি। সরকার বলছে, এসব ধারার সিংহভাগই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছ। কতগুলো ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা বলে সরকার।

পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সেটা সত্য। তবে সেখানকার মূল সমস্যা ভূমি নিয়ে টেকসই কোনো সমাধান আজও মেলেনি। ভূমি বিরোধ মেটানো না গেলে চুক্তির মূল উদ্দেশ্য, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অধরাই থেকে যাবে। এটা ছাড়া সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। পাহাড়ে দ্বৈত ভূমি বন্দোবস্তি আছে। এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করা জরুরি। ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। সেই আইন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।

পাহাড়ে টেকসই শান্তি স্থাপন করতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু উন্নয় করে বা ভূমি বিরোধ জিইয়ে রেখে সমস্যার কার্যকর সমাধান করা যাবে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিকল্প নেই। এজন্য ভূমি কমিশনকে কার্যকর করা জরুরি। আমরা আশা করব, উক্ত আইনের বিধিমালা দ্রুত তৈরি করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলো দূর করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করলে পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধা দূর করুন

শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও চুক্তির বছর পূর্তিতে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, পাহাড়ে কতটুকু শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে কতটা।

শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং চুক্তির কথা মানুষ যাতে ভুলে যেতে বাধ্য হয়, এ দেশের সরকার সেই বাস্তবতা তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, দেশে যারা শাসনে আছে বা সামনে আসবে, তাদের প্রত্যক্ষ করলে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষীণ সম্ভাবনাও দেখি না।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি। সরকার বলছে, এসব ধারার সিংহভাগই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছ। কতগুলো ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা বলে সরকার।

পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সেটা সত্য। তবে সেখানকার মূল সমস্যা ভূমি নিয়ে টেকসই কোনো সমাধান আজও মেলেনি। ভূমি বিরোধ মেটানো না গেলে চুক্তির মূল উদ্দেশ্য, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অধরাই থেকে যাবে। এটা ছাড়া সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। পাহাড়ে দ্বৈত ভূমি বন্দোবস্তি আছে। এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করা জরুরি। ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। সেই আইন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।

পাহাড়ে টেকসই শান্তি স্থাপন করতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু উন্নয় করে বা ভূমি বিরোধ জিইয়ে রেখে সমস্যার কার্যকর সমাধান করা যাবে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিকল্প নেই। এজন্য ভূমি কমিশনকে কার্যকর করা জরুরি। আমরা আশা করব, উক্ত আইনের বিধিমালা দ্রুত তৈরি করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলো দূর করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করলে পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

back to top