alt

উপ-সম্পাদকীয়

শুভ জন্মাষ্টমী : শান্তিময় মানবিক বিশ্বের প্রত্যাশা

মানিক লাল ঘোষ

: বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২
image

পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়-নীতি , সত্য ও সু্ন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয় তখন সেই অশুভ শক্তির বিনাশ করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।

জন্মাষ্টমী পরমাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই শুভ আবির্ভাব তিথি। বিশ্বব্যাপি সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে এই তিথির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

প্রভুত্ববাদ আর অন্যের ওপর খবরদারি করার অপচেষ্টায় দিন দিন কলুষিত হচ্ছে মানব সমাজ। বিরূপ পরিবেশে কলুষিত হচ্ছে মন, বিকৃত হচ্ছে মানসিকতা। জগতের কলুষিত বন্ধন যখন জীবসত্ত্বাকে বিপথগামী করে তখন পৃথিবী ছেয়ে যায় অনাচার আর পাপকর্মে। ন্যায় আর সত্য তখন ঢাকা পড়ে যায় পাপের ছায়ায়। সাধু - সন্নাসীদের ঐশ্বরিক শক্তিও তখন হার মেনে যায় অপশক্তির কূটচালে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন সময় এসেছে অনেকবার। আর যুগে যুগে এমন প্রতিকূল সময়ে মানবসভ্যতা রক্ষায় স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত শক্তি বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়েছে পৃথিবীতে। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধ্বংস করেছে অপশক্তিকে। প্রচার করেছে শান্তি , সাম্য ও সুন্দরের জয়গান।

ন্যায়ের পক্ষে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য কর্ম করেছেন অনেক। দিয়ে গেছেন ভবিষ্যতের সত্য, সুন্দর ও আলোর পথে চলার নির্দেশনা।

সনাতন ধর্মে এ অাবির্ভাব প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে নানান মত। শাস্ত্রমতে যুগে যুগে পথভ্রষ্ট ও বিপদগামী মানুষকে সত্য ও আলোর পথে ফিরিয়ে আনার , অপশক্তিকে ধ্বংস এবং সজ্জনকে রক্ষা করে সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভগবান বিভিন্ন রূপে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাবের জন্যই তিনি মহাবতার বলে পরিচিত হন। সনাতন ধর্মশাস্ত্রে বর্ণিত চারটি যুগের মধ্যে সত্য ও ত্রেতা যুগের মতো দ্বাপর যুগেও ভগবান পৃথিবীতে অবতরণ করেন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ লোকশিক্ষার জন্য অর্জুনের মাধ্যমে মূলত মানবসমাজকে শিক্ষা দিয়েছেন। জীব হিসেবে আমরা অণুচেতনার অধিকারী হলেও কলুষিত পরিবেশে নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলেছি। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া , ভোগ বিলাস, জাগতিক মোহ, যশ আর খ্যাতি ও অর্থবিত্তের লোভে মায়াচ্ছন্ন হয়ে আমরা ভুলে যাই সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে আমাদের করণীয় বিষয়গুলো।

অন্যায়, অসত্য ও পাপের দ্বারা পরিচালিত ও প্ররোচিত হয়ে জ্ঞান শূন্যতার অহমিকায় ভুগছি আমরা। আত্নঅহংকারে ভুলে যাচ্ছি মহান সৃষ্টিকর্তাকে। পার্থিব সুখে ভুলে যাই মহা অবতার ভগবানের সঙ্গে আমাদের চিন্ময় সম্পর্ককে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের মাধ্যমে পবিত্র শ্রীমদ ভগবত গীতায় যে জ্ঞান দান করেছেন তাও যদি আমরা গ্রহণ করতে সক্ষম হতাম এবং যথাযথভাবে পালন করতাম তবে কোনো প্রকার অন্যায় ও অসত্য আমাদের ঈশ্বর চেতনাকে স্পর্শ করতে পারতো না।

মহাঅবতার পরম চেতনার অধিকারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখানি:সৃত গীতার জ্ঞান যুগ যুগ ধরে মানবজীবনের পথ চলায় আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই জ্ঞানের আলোকিত জগতে নেই কোনো শঠতা, অন্যায় আর অসত্যের স্থান। ঠাঁই নেই কোনো অপশক্তির। বরং প্রতিনিয়ত সব রকমের ভীরুতা দূর করে অন্যায়কে প্রতিহত করার শিক্ষা পবিত্র গীতা আমাদেরকে দান করেছে।

পাপাচারে আচ্ছন্ন পরিবেশের বহি:শক্তি ও অন্ত:শত্রুর হাত থেকে জীবসত্ত্বাকে রক্ষা করে ভগবানের আনন্দ বিধানের জন্য করণীয় সম্পর্কে জ্ঞান ও উপদেশ গীতার মাধ্যমেই আমরা পেতে পারি। এই বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।

ধর্মীয় বিশ্বাসকে গুরুত্ব দিয়ে আবহমানকাল থেকেই সকল ধর্মের সহঅবস্থান এই বাংলাদেশে। যদিও মাঝে মাঝে কিছু স্বার্থান্বেসী মানুষের ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হীন ষড়যন্ত্রে থমকে যায় চলার পথ।তারপর আবারও আপ্রাণ চেষ্টা প্রিয় স্বদেশে টিকে থাকার।

ধর্ম সব সময় মানুষকে সত্য ও সু্ন্দরের পথ দেখায়। খুলে দেয় মানবিক চোখ। অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় উৎসব নিয়ে আাসে একটি শুভ বার্তা। এবার এমন এক প্রতিকূল অবস্থায় জন্মাষ্টমী উদযাপিত হতে যাচ্ছে যখন নানা বৈশ্বিক সমস্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে পুরো বিশ্ববাসী। এই সংকট মোকাবিলায় মহান স্রষ্টাই শেষ ভরসা। বিশ্বের বিপদগামী মানুষকে আলোর পথে, সততার পথে ফিরিয়ে আনা ও বিশ্বব্যাপি বিরাজমান অশান্তি নিরসনে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হোক এই পৃথিবী । অালোকিত হোক মানবসমাজ।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, করোনা সংকট, বন্যাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাক মানবকূল -- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথিতে এমন প্রত্যাশা সকলের।

[লেখক: সহ সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি]

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

শুভ জন্মাষ্টমী : শান্তিময় মানবিক বিশ্বের প্রত্যাশা

মানিক লাল ঘোষ

image

বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২

পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়-নীতি , সত্য ও সু্ন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয় তখন সেই অশুভ শক্তির বিনাশ করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।

জন্মাষ্টমী পরমাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই শুভ আবির্ভাব তিথি। বিশ্বব্যাপি সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে এই তিথির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

প্রভুত্ববাদ আর অন্যের ওপর খবরদারি করার অপচেষ্টায় দিন দিন কলুষিত হচ্ছে মানব সমাজ। বিরূপ পরিবেশে কলুষিত হচ্ছে মন, বিকৃত হচ্ছে মানসিকতা। জগতের কলুষিত বন্ধন যখন জীবসত্ত্বাকে বিপথগামী করে তখন পৃথিবী ছেয়ে যায় অনাচার আর পাপকর্মে। ন্যায় আর সত্য তখন ঢাকা পড়ে যায় পাপের ছায়ায়। সাধু - সন্নাসীদের ঐশ্বরিক শক্তিও তখন হার মেনে যায় অপশক্তির কূটচালে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন সময় এসেছে অনেকবার। আর যুগে যুগে এমন প্রতিকূল সময়ে মানবসভ্যতা রক্ষায় স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত শক্তি বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়েছে পৃথিবীতে। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধ্বংস করেছে অপশক্তিকে। প্রচার করেছে শান্তি , সাম্য ও সুন্দরের জয়গান।

ন্যায়ের পক্ষে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য কর্ম করেছেন অনেক। দিয়ে গেছেন ভবিষ্যতের সত্য, সুন্দর ও আলোর পথে চলার নির্দেশনা।

সনাতন ধর্মে এ অাবির্ভাব প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে নানান মত। শাস্ত্রমতে যুগে যুগে পথভ্রষ্ট ও বিপদগামী মানুষকে সত্য ও আলোর পথে ফিরিয়ে আনার , অপশক্তিকে ধ্বংস এবং সজ্জনকে রক্ষা করে সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভগবান বিভিন্ন রূপে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাবের জন্যই তিনি মহাবতার বলে পরিচিত হন। সনাতন ধর্মশাস্ত্রে বর্ণিত চারটি যুগের মধ্যে সত্য ও ত্রেতা যুগের মতো দ্বাপর যুগেও ভগবান পৃথিবীতে অবতরণ করেন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ লোকশিক্ষার জন্য অর্জুনের মাধ্যমে মূলত মানবসমাজকে শিক্ষা দিয়েছেন। জীব হিসেবে আমরা অণুচেতনার অধিকারী হলেও কলুষিত পরিবেশে নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলেছি। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া , ভোগ বিলাস, জাগতিক মোহ, যশ আর খ্যাতি ও অর্থবিত্তের লোভে মায়াচ্ছন্ন হয়ে আমরা ভুলে যাই সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে আমাদের করণীয় বিষয়গুলো।

অন্যায়, অসত্য ও পাপের দ্বারা পরিচালিত ও প্ররোচিত হয়ে জ্ঞান শূন্যতার অহমিকায় ভুগছি আমরা। আত্নঅহংকারে ভুলে যাচ্ছি মহান সৃষ্টিকর্তাকে। পার্থিব সুখে ভুলে যাই মহা অবতার ভগবানের সঙ্গে আমাদের চিন্ময় সম্পর্ককে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের মাধ্যমে পবিত্র শ্রীমদ ভগবত গীতায় যে জ্ঞান দান করেছেন তাও যদি আমরা গ্রহণ করতে সক্ষম হতাম এবং যথাযথভাবে পালন করতাম তবে কোনো প্রকার অন্যায় ও অসত্য আমাদের ঈশ্বর চেতনাকে স্পর্শ করতে পারতো না।

মহাঅবতার পরম চেতনার অধিকারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখানি:সৃত গীতার জ্ঞান যুগ যুগ ধরে মানবজীবনের পথ চলায় আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই জ্ঞানের আলোকিত জগতে নেই কোনো শঠতা, অন্যায় আর অসত্যের স্থান। ঠাঁই নেই কোনো অপশক্তির। বরং প্রতিনিয়ত সব রকমের ভীরুতা দূর করে অন্যায়কে প্রতিহত করার শিক্ষা পবিত্র গীতা আমাদেরকে দান করেছে।

পাপাচারে আচ্ছন্ন পরিবেশের বহি:শক্তি ও অন্ত:শত্রুর হাত থেকে জীবসত্ত্বাকে রক্ষা করে ভগবানের আনন্দ বিধানের জন্য করণীয় সম্পর্কে জ্ঞান ও উপদেশ গীতার মাধ্যমেই আমরা পেতে পারি। এই বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।

ধর্মীয় বিশ্বাসকে গুরুত্ব দিয়ে আবহমানকাল থেকেই সকল ধর্মের সহঅবস্থান এই বাংলাদেশে। যদিও মাঝে মাঝে কিছু স্বার্থান্বেসী মানুষের ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হীন ষড়যন্ত্রে থমকে যায় চলার পথ।তারপর আবারও আপ্রাণ চেষ্টা প্রিয় স্বদেশে টিকে থাকার।

ধর্ম সব সময় মানুষকে সত্য ও সু্ন্দরের পথ দেখায়। খুলে দেয় মানবিক চোখ। অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় উৎসব নিয়ে আাসে একটি শুভ বার্তা। এবার এমন এক প্রতিকূল অবস্থায় জন্মাষ্টমী উদযাপিত হতে যাচ্ছে যখন নানা বৈশ্বিক সমস্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে পুরো বিশ্ববাসী। এই সংকট মোকাবিলায় মহান স্রষ্টাই শেষ ভরসা। বিশ্বের বিপদগামী মানুষকে আলোর পথে, সততার পথে ফিরিয়ে আনা ও বিশ্বব্যাপি বিরাজমান অশান্তি নিরসনে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হোক এই পৃথিবী । অালোকিত হোক মানবসমাজ।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, করোনা সংকট, বন্যাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাক মানবকূল -- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথিতে এমন প্রত্যাশা সকলের।

[লেখক: সহ সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি]

back to top