alt

সম্পাদকীয়

শিশু-কিশোরদের হাতে স্টিয়ারিং কেন

: শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশু-কিশোর চালকরা চালাচ্ছে লড়ি ট্রাক্টর। এসব লড়ি ট্রাক্টরের বৈধতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। মাটিসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে ধোবাউড়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে উক্ত যানবাহন। অনিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালানোর অভিযোগ রয়েছে এর চালকদের বিরুদ্ধে। এ কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু যে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশু-কিশোর চালকরা যানবাহন চালাচ্ছে তা নয়। শিশু-কিশোর চালক দেশের বিভিন্ন সড়কে নানা ধরনের পরিবহন চালাচ্ছে। তারা ভারি পরিবহনও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাস্তা-ঘাটে প্রায়ই দেখা যায়, প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স ছাড়াই বাস, ট্রাক, টেম্পো, লেগুনা, পিকআপ, মোটরবাইক, নসিমন-করিমন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর কাজ করছে অপ্রাপ্তবয়স্করা।

শিক্ষা সুবিধা থেকে বঞ্ছিত ঝরে পড়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে অনেক শিশু-কিশোরকে কাজ করতে হয়। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতে শ্রম দিচ্ছে ১ লাখ ৫৫৫ জন শিশু-কিশোর। সমালোচকরা মনে করেন, এ কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এক হিসাব অনুযায়ী, শিশু-কিশোরদের হাতে স্টিয়ারিং যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ঘটছে ৯ শতাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

দেশের অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের সংখ্যাও সড়ক দুর্ঘটনার একটা কারণ বলে মনে করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো শিশু-কিশোর যেন যানবাহন না চালাতে পারে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

শ্রেণী-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে সেটা হতে পারে না। কখনো কখনো জীবন-জীবিকার তাগিদে কিংবা পরিবারের প্রয়োজনে একটি শিশুকে হয়ত উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে হয়। তাদের সামনে হয়ত আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এসব শিশু-কিশোরের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার।

এসডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। এই লক্ষ্য পূরণে আর খুব বেশি সময় নেই। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনাকে আরও জোরদার করা না গেলে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, প্রতিটি শিশুকে স্কুলমুখী করার ব্যবস্থা নিতে হবে। স্কুল যেন আনন্দদায়ক হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। অনেক সময় স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা থাকে। এ ব্যবস্থা সারাদেশের সব স্কুলে চালু করা গেলে শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব হতে পারে।

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

tab

সম্পাদকীয়

শিশু-কিশোরদের হাতে স্টিয়ারিং কেন

শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশু-কিশোর চালকরা চালাচ্ছে লড়ি ট্রাক্টর। এসব লড়ি ট্রাক্টরের বৈধতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। মাটিসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে ধোবাউড়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে উক্ত যানবাহন। অনিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালানোর অভিযোগ রয়েছে এর চালকদের বিরুদ্ধে। এ কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু যে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশু-কিশোর চালকরা যানবাহন চালাচ্ছে তা নয়। শিশু-কিশোর চালক দেশের বিভিন্ন সড়কে নানা ধরনের পরিবহন চালাচ্ছে। তারা ভারি পরিবহনও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাস্তা-ঘাটে প্রায়ই দেখা যায়, প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স ছাড়াই বাস, ট্রাক, টেম্পো, লেগুনা, পিকআপ, মোটরবাইক, নসিমন-করিমন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর কাজ করছে অপ্রাপ্তবয়স্করা।

শিক্ষা সুবিধা থেকে বঞ্ছিত ঝরে পড়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে অনেক শিশু-কিশোরকে কাজ করতে হয়। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতে শ্রম দিচ্ছে ১ লাখ ৫৫৫ জন শিশু-কিশোর। সমালোচকরা মনে করেন, এ কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এক হিসাব অনুযায়ী, শিশু-কিশোরদের হাতে স্টিয়ারিং যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ঘটছে ৯ শতাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

দেশের অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের সংখ্যাও সড়ক দুর্ঘটনার একটা কারণ বলে মনে করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো শিশু-কিশোর যেন যানবাহন না চালাতে পারে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

শ্রেণী-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে সেটা হতে পারে না। কখনো কখনো জীবন-জীবিকার তাগিদে কিংবা পরিবারের প্রয়োজনে একটি শিশুকে হয়ত উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে হয়। তাদের সামনে হয়ত আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এসব শিশু-কিশোরের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার।

এসডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। এই লক্ষ্য পূরণে আর খুব বেশি সময় নেই। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনাকে আরও জোরদার করা না গেলে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, প্রতিটি শিশুকে স্কুলমুখী করার ব্যবস্থা নিতে হবে। স্কুল যেন আনন্দদায়ক হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। অনেক সময় স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা থাকে। এ ব্যবস্থা সারাদেশের সব স্কুলে চালু করা গেলে শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব হতে পারে।

back to top