গত বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালার শ্রমিক কলোনির একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, তেলিরচালা এলাকার এক বাসিন্দা গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে শুরু করে। তখন সিলিন্ডারটি তিনি বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। ঠিক সেই সময় বাইরে একটি মাটির চুলায় আগুন জ্বলছিল। চুলার সেই আগুন থেকে সিলিন্ডারের গ্যাসে অগ্নিকা-ের সৃষ্টি হয়। আর তখন রাস্তায় থাকা অনেকেই দগ্ধ হন।
গ্যাস সিলিন্ডার ক্রেতা বলেছেন- গ্যাস সিলিন্ডারের ত্রুটি ছিল। এ কারণে গ্যাস বের হচ্ছিল। আর এটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় হঠাৎ পাশের চুলা থেকে সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়।
গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনায় নীতিমালা রয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেটা একটা প্রশ্ন। আর নীতিমালা যারা না মানে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটাও চোখে পড়ার মতো নয়। ঘটনা ঘটলে প্রশাসনে কয়েক দিন খুব তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়; কিন্তু কিছুদিন পর আবার যা তা-ই থেকে যায়।
আমদানি, পরিবহণ, বিপণন ও ব্যবহারের স্তরগুলোতে সিলিন্ডারের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কিনা কিংবা এর মান রক্ষা করা হচ্ছে কিনা সেটা নজরদারি করা দরকার। বিশেষ করে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো একস্থান থেকে অন্যস্থানে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও তেমনভাবে সতর্কতা পালন করা হয় না।
অনুমোদিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে সিলিন্ডার কেনা উচিত। সিলিন্ডারের মেয়াদ থাকে ১০ বছর থেকে ১৫ বছর। এটি পরখ করে দেখতে হবে। সেফটি ক্যাপ, পাইপ রাবারের রিং, রেগুলেটর ঠিকভাবে না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ‘বিএসটিআই’ অনুমোদিত যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। আর গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগের ক্ষেত্রে দক্ষ লোক নিতে হবে। এসব পরামর্শ দিয়েছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এটা এখন শুধু শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, প্রান্তিক এলাকাগুলোতেও এর ব্যবহার বাড়ছে। এর ব্যবহারে মানুষ যদি সচেতন না হয় আগামীতে দুর্ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হয়। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। চুলা, সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে। সিলিন্ডারটি লম্বা পাইপের সাহায্যে চুলা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে স্থাপন করতে হবে। বিদ্যুৎ, দাহ্য, প্রজ্বলিত বা বিস্ফোরক পদার্থ এবং ভিন্ন কোনো গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে এলপিজি সিলিন্ডার দূরে রাখতে হবে।
শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
গত বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালার শ্রমিক কলোনির একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, তেলিরচালা এলাকার এক বাসিন্দা গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে শুরু করে। তখন সিলিন্ডারটি তিনি বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। ঠিক সেই সময় বাইরে একটি মাটির চুলায় আগুন জ্বলছিল। চুলার সেই আগুন থেকে সিলিন্ডারের গ্যাসে অগ্নিকা-ের সৃষ্টি হয়। আর তখন রাস্তায় থাকা অনেকেই দগ্ধ হন।
গ্যাস সিলিন্ডার ক্রেতা বলেছেন- গ্যাস সিলিন্ডারের ত্রুটি ছিল। এ কারণে গ্যাস বের হচ্ছিল। আর এটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় হঠাৎ পাশের চুলা থেকে সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়।
গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনায় নীতিমালা রয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেটা একটা প্রশ্ন। আর নীতিমালা যারা না মানে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটাও চোখে পড়ার মতো নয়। ঘটনা ঘটলে প্রশাসনে কয়েক দিন খুব তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়; কিন্তু কিছুদিন পর আবার যা তা-ই থেকে যায়।
আমদানি, পরিবহণ, বিপণন ও ব্যবহারের স্তরগুলোতে সিলিন্ডারের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কিনা কিংবা এর মান রক্ষা করা হচ্ছে কিনা সেটা নজরদারি করা দরকার। বিশেষ করে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো একস্থান থেকে অন্যস্থানে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও তেমনভাবে সতর্কতা পালন করা হয় না।
অনুমোদিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে সিলিন্ডার কেনা উচিত। সিলিন্ডারের মেয়াদ থাকে ১০ বছর থেকে ১৫ বছর। এটি পরখ করে দেখতে হবে। সেফটি ক্যাপ, পাইপ রাবারের রিং, রেগুলেটর ঠিকভাবে না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ‘বিএসটিআই’ অনুমোদিত যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। আর গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগের ক্ষেত্রে দক্ষ লোক নিতে হবে। এসব পরামর্শ দিয়েছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এটা এখন শুধু শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, প্রান্তিক এলাকাগুলোতেও এর ব্যবহার বাড়ছে। এর ব্যবহারে মানুষ যদি সচেতন না হয় আগামীতে দুর্ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হয়। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। চুলা, সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে। সিলিন্ডারটি লম্বা পাইপের সাহায্যে চুলা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে স্থাপন করতে হবে। বিদ্যুৎ, দাহ্য, প্রজ্বলিত বা বিস্ফোরক পদার্থ এবং ভিন্ন কোনো গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে এলপিজি সিলিন্ডার দূরে রাখতে হবে।