যশোরে ওজন বাড়ানোর জন্য চিংড়ির শরীরে জেলি পুশ করার দায়ে দুজন ব্যবসায়ীকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার রাতে দুটি বাসে করে জেলি পুশ করা ৩৪০ কেজি চিংড়ি যশোর থেকে রংপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। যশোরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের র্যাব সদস্যরা বাসে অভিযান চালিয়ে এসব চিংড়ি জব্দ করে। পরে সেগুলো ধ্বংসও করা হয়।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক কেজি চিংড়িতে প্রায় ২৫০ গ্রাম জেলি পুশ করেন। এতে প্রতি কেজি চিংড়িতে ব্যবসায়ীরা ১৫০ টাকা বেশি মুনাফা করেন। দেশে-বিদেশে চিংড়ির বেশ কদর রয়েছে। তাই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ভাতের মাড়, সাবুদানা ও কয়েক প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে ‘জেলি’ তৈরি করেন। এই জেলি চিংড়ির শরীরে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করা হলে ওজন বেড়ে যায়। এতে তারা বেশি মুনাফা করতে পারেন।
দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি হয় বিদেশে। জেলি পুশ করার কারণে শুধু দেশের ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা না। রপ্তানি করা চিংড়ি বিদেশ থেকে ফেরতও এসেছে অনেকবার। এই প্রবণতা স্থায়ীভাবে বন্ধ না হলে অচিরেই আমরা বিদেশের বাজার হারাব। অন্যদিকে জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ কিনে ক্রেতারা নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। জেলি পুশ করলে চিংড়ির ওজন বাড়ে। এক্ষেত্রে সঠিক ওজনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এতে দামও বেশি দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি মাছের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে। আর এ কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে। নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে মানুষের। ‘জেলি’কে একধরনের নীরব ঘাতকও বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শুধু যশোরেই যে চিংড়ি ব্যবসায়ীরা এমন কাজ করছেন তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বেশি মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা এসব অন্যায় বারবার করে চলেছেন। প্রশাসন এদের ধরছেÑ আবার সাজা ও জরিমানাও করছে। কিন্তু কেন এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।
ব্যবসায়ীর বলেন, আড়ত থেকে জেলি পুশ করা হয়। আবার আড়তদাররা বলেন, জেলেরা এই কাজ করে। আমরা বলতে চাই, একে অপরকে দোষারোপ করার অপকৌশল বন্ধ করতে হবে। জেলি মেশানোর পুরো চক্রকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন তা নিতে হবে প্রশাসনকে। যারা চিংড়িতে জেলি মেশাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। অর্থদ- করতে হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে হবে। কারণ জেলি মিশিয়ে যে পরিমাণ মুনাফা করেন ব্যবসায়ীরা তার বিপরীতে যদি লঘু দ- দেয়া হয় তাহলে তাতে তারা খুব বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে না। তাই তারা আবারও একই অপরাধ করে।
রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪
যশোরে ওজন বাড়ানোর জন্য চিংড়ির শরীরে জেলি পুশ করার দায়ে দুজন ব্যবসায়ীকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার রাতে দুটি বাসে করে জেলি পুশ করা ৩৪০ কেজি চিংড়ি যশোর থেকে রংপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। যশোরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের র্যাব সদস্যরা বাসে অভিযান চালিয়ে এসব চিংড়ি জব্দ করে। পরে সেগুলো ধ্বংসও করা হয়।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক কেজি চিংড়িতে প্রায় ২৫০ গ্রাম জেলি পুশ করেন। এতে প্রতি কেজি চিংড়িতে ব্যবসায়ীরা ১৫০ টাকা বেশি মুনাফা করেন। দেশে-বিদেশে চিংড়ির বেশ কদর রয়েছে। তাই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ভাতের মাড়, সাবুদানা ও কয়েক প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে ‘জেলি’ তৈরি করেন। এই জেলি চিংড়ির শরীরে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করা হলে ওজন বেড়ে যায়। এতে তারা বেশি মুনাফা করতে পারেন।
দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি হয় বিদেশে। জেলি পুশ করার কারণে শুধু দেশের ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা না। রপ্তানি করা চিংড়ি বিদেশ থেকে ফেরতও এসেছে অনেকবার। এই প্রবণতা স্থায়ীভাবে বন্ধ না হলে অচিরেই আমরা বিদেশের বাজার হারাব। অন্যদিকে জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ কিনে ক্রেতারা নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। জেলি পুশ করলে চিংড়ির ওজন বাড়ে। এক্ষেত্রে সঠিক ওজনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এতে দামও বেশি দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি মাছের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে। আর এ কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে। নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে মানুষের। ‘জেলি’কে একধরনের নীরব ঘাতকও বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শুধু যশোরেই যে চিংড়ি ব্যবসায়ীরা এমন কাজ করছেন তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বেশি মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা এসব অন্যায় বারবার করে চলেছেন। প্রশাসন এদের ধরছেÑ আবার সাজা ও জরিমানাও করছে। কিন্তু কেন এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।
ব্যবসায়ীর বলেন, আড়ত থেকে জেলি পুশ করা হয়। আবার আড়তদাররা বলেন, জেলেরা এই কাজ করে। আমরা বলতে চাই, একে অপরকে দোষারোপ করার অপকৌশল বন্ধ করতে হবে। জেলি মেশানোর পুরো চক্রকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন তা নিতে হবে প্রশাসনকে। যারা চিংড়িতে জেলি মেশাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। অর্থদ- করতে হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে হবে। কারণ জেলি মিশিয়ে যে পরিমাণ মুনাফা করেন ব্যবসায়ীরা তার বিপরীতে যদি লঘু দ- দেয়া হয় তাহলে তাতে তারা খুব বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে না। তাই তারা আবারও একই অপরাধ করে।