alt

সম্পাদকীয়

তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিন লাখেরও বেশি। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তিতাস। অধিকাংশ অবৈধ সংযোগ রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো অভিযান চালাচ্ছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা সর্বজনবিদিত। প্রায়ই অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। একটি দুটি নয় লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। ঢাকা ও আশপাশের চার জেলায় প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির বিতরণ লাইনেও নানান ত্রুটি-বিচ্যুতির কথাও বিভিন্ন সময় জানা যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে অতীতে দেশে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে, সেসব দুর্ঘটনায় জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়েছে।

শুধু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই চলবে না, কিভাবে এসব সংযোগ দেয়া হলো, কিভাবে তা এতদিন ধরে চলছিল, এর পেছনে কারা আছেÑ সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ আছে, অবৈধ সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা কারা আদায় করে।

অবৈধ সংযোগ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অতীতে অনেকবারই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেখা গেছে; কিন্তু কিছুদিন পর সেগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে তিতাসের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাইÑ টেকসইভাবে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে সবার আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

tab

সম্পাদকীয়

তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিন লাখেরও বেশি। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তিতাস। অধিকাংশ অবৈধ সংযোগ রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো অভিযান চালাচ্ছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা সর্বজনবিদিত। প্রায়ই অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। একটি দুটি নয় লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। ঢাকা ও আশপাশের চার জেলায় প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির বিতরণ লাইনেও নানান ত্রুটি-বিচ্যুতির কথাও বিভিন্ন সময় জানা যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে অতীতে দেশে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে, সেসব দুর্ঘটনায় জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়েছে।

শুধু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই চলবে না, কিভাবে এসব সংযোগ দেয়া হলো, কিভাবে তা এতদিন ধরে চলছিল, এর পেছনে কারা আছেÑ সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ আছে, অবৈধ সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা কারা আদায় করে।

অবৈধ সংযোগ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অতীতে অনেকবারই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেখা গেছে; কিন্তু কিছুদিন পর সেগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে তিতাসের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাইÑ টেকসইভাবে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে সবার আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top