তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিন লাখেরও বেশি। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তিতাস। অধিকাংশ অবৈধ সংযোগ রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো অভিযান চালাচ্ছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা সর্বজনবিদিত। প্রায়ই অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। একটি দুটি নয় লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। ঢাকা ও আশপাশের চার জেলায় প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির বিতরণ লাইনেও নানান ত্রুটি-বিচ্যুতির কথাও বিভিন্ন সময় জানা যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে অতীতে দেশে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে, সেসব দুর্ঘটনায় জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়েছে।
শুধু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই চলবে না, কিভাবে এসব সংযোগ দেয়া হলো, কিভাবে তা এতদিন ধরে চলছিল, এর পেছনে কারা আছেÑ সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ আছে, অবৈধ সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা কারা আদায় করে।
অবৈধ সংযোগ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অতীতে অনেকবারই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেখা গেছে; কিন্তু কিছুদিন পর সেগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে তিতাসের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাইÑ টেকসইভাবে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে সবার আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিন লাখেরও বেশি। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তিতাস। অধিকাংশ অবৈধ সংযোগ রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো অভিযান চালাচ্ছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা সর্বজনবিদিত। প্রায়ই অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। একটি দুটি নয় লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। ঢাকা ও আশপাশের চার জেলায় প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির বিতরণ লাইনেও নানান ত্রুটি-বিচ্যুতির কথাও বিভিন্ন সময় জানা যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে অতীতে দেশে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে, সেসব দুর্ঘটনায় জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়েছে।
শুধু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই চলবে না, কিভাবে এসব সংযোগ দেয়া হলো, কিভাবে তা এতদিন ধরে চলছিল, এর পেছনে কারা আছেÑ সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ আছে, অবৈধ সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা কারা আদায় করে।
অবৈধ সংযোগ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অতীতে অনেকবারই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেখা গেছে; কিন্তু কিছুদিন পর সেগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে তিতাসের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাইÑ টেকসইভাবে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে সবার আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।