ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম উত্তরটানপাড়া গ্রামে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র সরকারি খাল দখলে নিয়েছে। এরপর খালের সেতুর নিচে মাটি ভরাট করে সেতুর দু’পাশে পুকুর খনন করে সাত বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। এতে খালের পানি প্রবাহ বিঘিœত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষণও বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। কৃষকরা ফসল হারিয়ে নানাভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
এলাকার মানুষ খাল উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদনও জানিয়েছে। কিন্তু সরকারি খাল উদ্ধার ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি।
শুধু যে ফুলবাড়ীয়ায় ক্ষমতার জোরে প্রভাবশালী চক্র সরকারি খাল দখলে নিয়েছে তা না। দেশের অনেক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে সরকারি সম্পদ দখলে নেয়। আর এই অন্যায় কাজে ইন্ধন জোগায় প্রশাসনের এক শ্রেণীর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা।
দেশে খাল-বিল, নদ-নদী ও জলাধার সংরক্ষণে আইন রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে জলাশয়, পুকুর, খাল-বিল ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর কেউ যদি এ আইন অমান্য করে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদও করে। জেল-জরিমানাও হয়। কিন্তু সেটা লোক দেখানোই মনে করে থাকেন অনেকে।
কার্যকরভাবে যদি খাল-বিল উদ্ধার করা হতো তাহলে দেশে এত খালবিল দখল হয়ে যেত না। এখানে প্রশাসনেরও অনেক অবহেলা ও গাফিলতি থাকে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করে থাকেন। তা না হলে সাত বছর ধরে ফুলবাড়ীয়ায় সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করছে কিভাবে প্রভাবশালী চক্র। এত দীর্ঘ সময় পর উপজেলা প্রশাসন বলছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতদিনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা কেন নেয়া হলো না, সেটা আমরা জানতে চাইব।
আমরা আশা করব, ফুলবাড়ীয়ার খালটি উদ্ধারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ না কাল, কাল না পরশুÑএভাবে যেন কালক্ষেপণ না করা হয়। ইতোমধ্যে যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়েছে। এতে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে কৃষকদের। এখনও সময় আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। আমরা এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম উত্তরটানপাড়া গ্রামে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র সরকারি খাল দখলে নিয়েছে। এরপর খালের সেতুর নিচে মাটি ভরাট করে সেতুর দু’পাশে পুকুর খনন করে সাত বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। এতে খালের পানি প্রবাহ বিঘিœত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষণও বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। কৃষকরা ফসল হারিয়ে নানাভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
এলাকার মানুষ খাল উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদনও জানিয়েছে। কিন্তু সরকারি খাল উদ্ধার ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি।
শুধু যে ফুলবাড়ীয়ায় ক্ষমতার জোরে প্রভাবশালী চক্র সরকারি খাল দখলে নিয়েছে তা না। দেশের অনেক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে সরকারি সম্পদ দখলে নেয়। আর এই অন্যায় কাজে ইন্ধন জোগায় প্রশাসনের এক শ্রেণীর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা।
দেশে খাল-বিল, নদ-নদী ও জলাধার সংরক্ষণে আইন রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে জলাশয়, পুকুর, খাল-বিল ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর কেউ যদি এ আইন অমান্য করে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদও করে। জেল-জরিমানাও হয়। কিন্তু সেটা লোক দেখানোই মনে করে থাকেন অনেকে।
কার্যকরভাবে যদি খাল-বিল উদ্ধার করা হতো তাহলে দেশে এত খালবিল দখল হয়ে যেত না। এখানে প্রশাসনেরও অনেক অবহেলা ও গাফিলতি থাকে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করে থাকেন। তা না হলে সাত বছর ধরে ফুলবাড়ীয়ায় সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করছে কিভাবে প্রভাবশালী চক্র। এত দীর্ঘ সময় পর উপজেলা প্রশাসন বলছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতদিনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা কেন নেয়া হলো না, সেটা আমরা জানতে চাইব।
আমরা আশা করব, ফুলবাড়ীয়ার খালটি উদ্ধারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ না কাল, কাল না পরশুÑএভাবে যেন কালক্ষেপণ না করা হয়। ইতোমধ্যে যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়েছে। এতে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে কৃষকদের। এখনও সময় আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। আমরা এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।