গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত একটি চরের নাম ‘কাদেরের চর’। এই চরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। চর থেকে বহুদূরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু সেখানে যেতে হলে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নদী পার হয়ে যেতে হয়।
চরের শিশুদের লেখাপড়া শেখার আগ্রহ রয়েছে। তাদের অভিভাবকরাও চান শিশুরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক। কিন্তু বিপৎসংকুল নদীপথ তাদের স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে আড়াই শতাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। অনেক শিশু খেতে-খামারে কাজ করছে। বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে মেয়ে শিশুরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য দাবি জানিয়েছেন দুর্গম এ চরের তিন হাজার পরিবার।
শুধু সুন্দরগঞ্জের কাদেরের চরে নয়; দেশের আরও অনেক চরে এখনও শিক্ষার আলো পৌঁছেনি। কোথাও কোথাও চরের শিশুরা লেখাপড়া করতে চায় কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই বলে সেটা আর হয়ে ওঠে না। এটা কাম্য নয়। শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার। চরের শিশুরা যাতে শিক্ষাবঞ্চিত না হয় এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাদেরের চরে আজও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন গড়ে ওঠেনি।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এতদিন পর বলছেন এই চরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কিন্তু এতদিনেও চরের শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি তাদের মাথায় কেন এলো না সে প্রশ্ন এসে যায়।
সরকারকে অবশ্যই চরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। চরের হাজার হাজার শিশুকে শিক্ষাবঞ্চিত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে তাদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের আংশিক জনপদকে শিক্ষার বাইরে রেখে একটি সুন্দর শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি।
যেসব চরাঞ্চলে পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু সরকারই নয়; সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে অনেক বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিও রয়েছেন। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে দেয়ার জন্যও এগিয়ে আসতে পারেন।
শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত একটি চরের নাম ‘কাদেরের চর’। এই চরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। চর থেকে বহুদূরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু সেখানে যেতে হলে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নদী পার হয়ে যেতে হয়।
চরের শিশুদের লেখাপড়া শেখার আগ্রহ রয়েছে। তাদের অভিভাবকরাও চান শিশুরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক। কিন্তু বিপৎসংকুল নদীপথ তাদের স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে আড়াই শতাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। অনেক শিশু খেতে-খামারে কাজ করছে। বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে মেয়ে শিশুরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য দাবি জানিয়েছেন দুর্গম এ চরের তিন হাজার পরিবার।
শুধু সুন্দরগঞ্জের কাদেরের চরে নয়; দেশের আরও অনেক চরে এখনও শিক্ষার আলো পৌঁছেনি। কোথাও কোথাও চরের শিশুরা লেখাপড়া করতে চায় কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই বলে সেটা আর হয়ে ওঠে না। এটা কাম্য নয়। শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার। চরের শিশুরা যাতে শিক্ষাবঞ্চিত না হয় এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাদেরের চরে আজও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন গড়ে ওঠেনি।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এতদিন পর বলছেন এই চরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কিন্তু এতদিনেও চরের শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি তাদের মাথায় কেন এলো না সে প্রশ্ন এসে যায়।
সরকারকে অবশ্যই চরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। চরের হাজার হাজার শিশুকে শিক্ষাবঞ্চিত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে তাদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের আংশিক জনপদকে শিক্ষার বাইরে রেখে একটি সুন্দর শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি।
যেসব চরাঞ্চলে পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু সরকারই নয়; সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে অনেক বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিও রয়েছেন। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে দেয়ার জন্যও এগিয়ে আসতে পারেন।