alt

উপ-সম্পাদকীয়

সমস্যা ও সমাধান

রহমান মৃধা

: সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

কোনো ব্যক্তি যদি ভালো কাজ করে এবং তার তারিফ করার যখন কেউ না থাকে বা মন্দ কাজ করলে কেউ ধিক্কার না দেয় তখনই বুঝতে হবে পৃথিবীর মানুষের অবক্ষয় চলছে। মানব জাতির সম্পর্কে এতবড় একটি খারাপ মন্তব্য করার হিম্মত আমি কীভাবে পেলামÑ এমনটি প্রশ্ন আমাকে করা হয়েছে গত কয়েক দিন আগে সুইডেনের একটি জনসমাবেশে। আমি তৎক্ষণাৎ আমার উপরের মন্তব্যের পেছনে একের পর এক যুক্তি দাঁড় করাতে শুরু করলাম।

যেমনÑ বললাম সুইডেন দুইশ বছরের বেশি সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে চলছে, হঠাৎ কী হলো যে ন্যাটোতে যোগ দিতে হবে এবং কেনই বা বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য বিশাল অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা নিতে হবে? দেশের জনগণ সব শুনছে, দেখছে এবং জানছেÑ তারপরও কোন প্রতিবাদ নেই, নেই হা-হুতাশ। ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েল-হামাস সংকট চলছে, বিশ্বের বহু গরিব দেশের মানুষ না খেয়ে মরছেÑ তো? চোখের সামনে দুর্নীতি, অনীতি হচ্ছে, আমরা নীরবতা পালন করে চলছি ইত্যাদি ইত্যাদি।

সবাই চুপ হয়ে গেল, নতুন কোনো প্রশ্ন নেই, ভাবলাম যাক তাহলে যা বলেছি তা ভুল কিছু না। আমার পরবর্তী মতামত ছিল, বিশ্বের মানুষের ৯০% সময় ব্যয় হয় প্রব্লেম মেকারে বাকি ১০% সমাধানে। হঠাৎ একজন তরুণ প্রজন্মের মেয়ে হাত উঁচু করে বলল, একটু বিশ্লেষণ করবা; কী বোঝাতে চাচ্ছো তুমি? বাকিটা সময় আমি যে আলোচনা করেছিলাম সেটা ছিল নিম্নরূপÑ সারাদিন সমস্যার সমাধান করাই মানুষের কাজ, নাকি সমস্যা তৈরি করা মানুষের কাজ? আমরা কী সমস্যা তৈরি করি, নাকি সমস্যা নিজ থেকে আমাদের ওপর চেপে বসে?

আমাদের লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া, আশা-প্রত্যাশা এবং দরকারই মূলত সমস্যার কারণ। মানুষের কারণে কি তাহলে সমস্যা নাকি সমস্যার কারণে মানুষ? আমরা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষা গ্রহণ করি সে শিক্ষায় কী শিখি মূলত? সমস্যার সমাধান করা এবং সমস্যার সৃষ্টি করা। সমস্যা এবং সমাধান--- এর বাইরে আসলে আমরা তেমন কিছু করি না। এখন যদি সমস্যা না থাকত তাহলে আমরা কী করতাম ভেবেছেন কি কেউ? আমি ভাবতে শুরু করেছি। আমার সেই ভাবনার জগত থেকে আজকের এই লেখা।

আমি দূর পরবাসে চল্লিশ বছর বসবাস করছি, এই চল্লিশ বছর সময়ে আমি সমস্যার সমাধানের চেয়ে সমস্যা তৈরি করেছি বেশি। যখনই দেখি এটা নেই, সেটা নেই তখনই শুরু হয় সমস্যা এবং সেই এটা সেটা না পাওয়া অবধি সমস্যার পর সমস্যা তৈরি করতে থাকি। কখনও সমাধান করি কখনও সমাধান করতে গিয়ে এক বা একের অধিক সমস্যার সৃষ্টি করিÑ তার মানে আমি ৯০% সময় ব্যয় করি প্রব্লেম মেকারে এবং ১০% সময় ব্যয় করি সমাধানে।

এখন কথা আছে সেটা হলো অনেক সময় আমরা জানি না সমস্যাটা কী, সেটাও একটা বড় সমস্যা। বহু গবষণার পর হয়তো জানতে পারলাম সমস্যা, এখন সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। যখন সমাধান পেয়ে গেলাম তখন কিছু সময় স্বস্তি, শান্তি, আনন্দ-ফুর্তি এসে হাজির হলো এবং ঠিক সেই মুহূর্তে নতুন চিন্তার উদয় হলো মানে শুরু হলো নতুন সমস্যা।

ধরুন শখ হলো শিক্ষামন্ত্রী হবেন। শিক্ষামন্ত্রী নতুন কোনো উদ্ভাবন না তবে আপনি শিক্ষামন্ত্রী হবেন এটা একটি মিশন ইম্পসিবল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে দেখা গেল আপনার সব গেল সঙ্গে আপনিও, তারপরও আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। মাঝখানে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করলেন একটি সমস্যার সমাধান করতে। এভাবে বিশ্বের মানুষ প্রতিদিন তার সময়ের ৯০% সময় ব্যয় করে চলছে সমস্যার মধ্য দিয়ে।

আমরা আমাদের ধ্যানে যে সময় ব্যয় করি সেই সময়টি যদি সমস্যা যুক্ত না হয়ে সমস্যামুক্ত হতো তবে আমরা পৃথিবীকে সুন্দর পরিপাটি করে গড়ে তুলতে পারতাম, পারতাম নিজেদের সুখী ও সমৃদ্ধ করতে। আমরা মনে করি যে প্রতিদিন আমরা যেসব কাজকর্ম করি তার একটা ভ্যালু রয়েছে; কথা সত্য। কিন্তু ভাবুন মূলত আমরা কী করি!

যেমন উকিলরা কী করেন? একজন অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করে ন্যায়-অন্যায়ের পক্ষে বা বিপক্ষে লড়েন। যারা অপরাধ করে বা অপরাধের স্বীকার তারা সেটা জানে তারপরও উকিল নিয়োগ করে শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে বা শাস্তি দিতে। এখন মিথ্যাকে সত্য অথবা সত্যকে মিথ্যা প্রমাণিত করা এবং সমস্যার সমাধান করা মূলত উকিলের কাজ। যত খারাপ, অন্যায়, মিথ্যা, অপকর্ম, অবিচার, অত্যাচার, দুর্নীতি, অনীতি কাজের পেছনে আমরা সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করি এবং এর জন্য সমাজের বলতে গেলে সব মানুষ কাজ করে। অথচ ভালো কাজের জন্য উকিল, পুলিশ, বিচার কোনো কিছুর মূলত দরকার হয় না।

তার মানে কী দাঁড়াল? অন্যায়-অপকর্মের জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে। অন্যায়-অপকর্ম শেখার জন্য মানুষ শিক্ষিত হয়। এর নাম সভ্যতা নাকি অসভ্যতা? যাই হোক না কেন, এই হলো আমাদের পৃথিবী, এই পৃথিবীর পরিবর্তন যদি সত্যিই আমরা চাই তবে আমাদের উদ্ভাবিত হতে হবে নতুন উদ্দীপনা এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তার মধ্য দিয়ে। শুধু সমস্যা সমাধান না করে আসুন নতুন চিন্তার উদ্ভাবন করতে শিখি।

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন]

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

সমস্যা ও সমাধান

রহমান মৃধা

সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

কোনো ব্যক্তি যদি ভালো কাজ করে এবং তার তারিফ করার যখন কেউ না থাকে বা মন্দ কাজ করলে কেউ ধিক্কার না দেয় তখনই বুঝতে হবে পৃথিবীর মানুষের অবক্ষয় চলছে। মানব জাতির সম্পর্কে এতবড় একটি খারাপ মন্তব্য করার হিম্মত আমি কীভাবে পেলামÑ এমনটি প্রশ্ন আমাকে করা হয়েছে গত কয়েক দিন আগে সুইডেনের একটি জনসমাবেশে। আমি তৎক্ষণাৎ আমার উপরের মন্তব্যের পেছনে একের পর এক যুক্তি দাঁড় করাতে শুরু করলাম।

যেমনÑ বললাম সুইডেন দুইশ বছরের বেশি সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে চলছে, হঠাৎ কী হলো যে ন্যাটোতে যোগ দিতে হবে এবং কেনই বা বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য বিশাল অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা নিতে হবে? দেশের জনগণ সব শুনছে, দেখছে এবং জানছেÑ তারপরও কোন প্রতিবাদ নেই, নেই হা-হুতাশ। ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েল-হামাস সংকট চলছে, বিশ্বের বহু গরিব দেশের মানুষ না খেয়ে মরছেÑ তো? চোখের সামনে দুর্নীতি, অনীতি হচ্ছে, আমরা নীরবতা পালন করে চলছি ইত্যাদি ইত্যাদি।

সবাই চুপ হয়ে গেল, নতুন কোনো প্রশ্ন নেই, ভাবলাম যাক তাহলে যা বলেছি তা ভুল কিছু না। আমার পরবর্তী মতামত ছিল, বিশ্বের মানুষের ৯০% সময় ব্যয় হয় প্রব্লেম মেকারে বাকি ১০% সমাধানে। হঠাৎ একজন তরুণ প্রজন্মের মেয়ে হাত উঁচু করে বলল, একটু বিশ্লেষণ করবা; কী বোঝাতে চাচ্ছো তুমি? বাকিটা সময় আমি যে আলোচনা করেছিলাম সেটা ছিল নিম্নরূপÑ সারাদিন সমস্যার সমাধান করাই মানুষের কাজ, নাকি সমস্যা তৈরি করা মানুষের কাজ? আমরা কী সমস্যা তৈরি করি, নাকি সমস্যা নিজ থেকে আমাদের ওপর চেপে বসে?

আমাদের লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া, আশা-প্রত্যাশা এবং দরকারই মূলত সমস্যার কারণ। মানুষের কারণে কি তাহলে সমস্যা নাকি সমস্যার কারণে মানুষ? আমরা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষা গ্রহণ করি সে শিক্ষায় কী শিখি মূলত? সমস্যার সমাধান করা এবং সমস্যার সৃষ্টি করা। সমস্যা এবং সমাধান--- এর বাইরে আসলে আমরা তেমন কিছু করি না। এখন যদি সমস্যা না থাকত তাহলে আমরা কী করতাম ভেবেছেন কি কেউ? আমি ভাবতে শুরু করেছি। আমার সেই ভাবনার জগত থেকে আজকের এই লেখা।

আমি দূর পরবাসে চল্লিশ বছর বসবাস করছি, এই চল্লিশ বছর সময়ে আমি সমস্যার সমাধানের চেয়ে সমস্যা তৈরি করেছি বেশি। যখনই দেখি এটা নেই, সেটা নেই তখনই শুরু হয় সমস্যা এবং সেই এটা সেটা না পাওয়া অবধি সমস্যার পর সমস্যা তৈরি করতে থাকি। কখনও সমাধান করি কখনও সমাধান করতে গিয়ে এক বা একের অধিক সমস্যার সৃষ্টি করিÑ তার মানে আমি ৯০% সময় ব্যয় করি প্রব্লেম মেকারে এবং ১০% সময় ব্যয় করি সমাধানে।

এখন কথা আছে সেটা হলো অনেক সময় আমরা জানি না সমস্যাটা কী, সেটাও একটা বড় সমস্যা। বহু গবষণার পর হয়তো জানতে পারলাম সমস্যা, এখন সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। যখন সমাধান পেয়ে গেলাম তখন কিছু সময় স্বস্তি, শান্তি, আনন্দ-ফুর্তি এসে হাজির হলো এবং ঠিক সেই মুহূর্তে নতুন চিন্তার উদয় হলো মানে শুরু হলো নতুন সমস্যা।

ধরুন শখ হলো শিক্ষামন্ত্রী হবেন। শিক্ষামন্ত্রী নতুন কোনো উদ্ভাবন না তবে আপনি শিক্ষামন্ত্রী হবেন এটা একটি মিশন ইম্পসিবল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে দেখা গেল আপনার সব গেল সঙ্গে আপনিও, তারপরও আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। মাঝখানে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করলেন একটি সমস্যার সমাধান করতে। এভাবে বিশ্বের মানুষ প্রতিদিন তার সময়ের ৯০% সময় ব্যয় করে চলছে সমস্যার মধ্য দিয়ে।

আমরা আমাদের ধ্যানে যে সময় ব্যয় করি সেই সময়টি যদি সমস্যা যুক্ত না হয়ে সমস্যামুক্ত হতো তবে আমরা পৃথিবীকে সুন্দর পরিপাটি করে গড়ে তুলতে পারতাম, পারতাম নিজেদের সুখী ও সমৃদ্ধ করতে। আমরা মনে করি যে প্রতিদিন আমরা যেসব কাজকর্ম করি তার একটা ভ্যালু রয়েছে; কথা সত্য। কিন্তু ভাবুন মূলত আমরা কী করি!

যেমন উকিলরা কী করেন? একজন অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করে ন্যায়-অন্যায়ের পক্ষে বা বিপক্ষে লড়েন। যারা অপরাধ করে বা অপরাধের স্বীকার তারা সেটা জানে তারপরও উকিল নিয়োগ করে শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে বা শাস্তি দিতে। এখন মিথ্যাকে সত্য অথবা সত্যকে মিথ্যা প্রমাণিত করা এবং সমস্যার সমাধান করা মূলত উকিলের কাজ। যত খারাপ, অন্যায়, মিথ্যা, অপকর্ম, অবিচার, অত্যাচার, দুর্নীতি, অনীতি কাজের পেছনে আমরা সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করি এবং এর জন্য সমাজের বলতে গেলে সব মানুষ কাজ করে। অথচ ভালো কাজের জন্য উকিল, পুলিশ, বিচার কোনো কিছুর মূলত দরকার হয় না।

তার মানে কী দাঁড়াল? অন্যায়-অপকর্মের জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে। অন্যায়-অপকর্ম শেখার জন্য মানুষ শিক্ষিত হয়। এর নাম সভ্যতা নাকি অসভ্যতা? যাই হোক না কেন, এই হলো আমাদের পৃথিবী, এই পৃথিবীর পরিবর্তন যদি সত্যিই আমরা চাই তবে আমাদের উদ্ভাবিত হতে হবে নতুন উদ্দীপনা এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তার মধ্য দিয়ে। শুধু সমস্যা সমাধান না করে আসুন নতুন চিন্তার উদ্ভাবন করতে শিখি।

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন]

back to top