বাংলাদেশ উন্নতি ও অগ্রগতির চরম শিখরে পৌঁছেছে। যার ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবাই সাধারণ জনগোষ্ঠী ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে।আর এই ডিজিটাল সেবার মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে বিদ্যুৎ। মানবজীবন যেমন আত্মা ছাড়া নিথর দেহ। জনজীবনও বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানে প্রায় তেমন।
কিন্তু এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে নেই কোনো সচেতনতা বরং তা অপচয় করাই যেন ফ্যাশন আর স্মার্টনেস। ঘরে, বাইরে, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাল্ব সংযোজন এবং অপ্রয়োজনে বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা, ঘরে মানুষের অস্তিত্ব না থাকলেও বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে রাখা, বিশেষ করে বাজারের দোকানগুলোতে পাঁচ-সাতটি, ক্ষেত্র বিশেষে দশটিরও অধিক বাল্ব অপ্রয়োজনে জ্বলতে দেখা যায়।
আবার কোনো অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জা ঝলমল করতে থাকে দিনব্যাপী যেখানে শুধু রাতেই তা অবলোকন সম্ভব। প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় এমনকি অপ্রয়োজনীয় বাল্বগুলোও জ্বলতে থাকে সকাল আটটা-দশটা অবধি, মাঝে মাঝে সারাদিনও। অন্যদিকে বাসা-বাড়ির ফ্রিজে ফ্রিজায়নের কিছু না থাকলেও তা চলতেই থাকে মাসভর। এসবকিছু অপচয় বৈ কিছুই নয়। এই অপচয়ের ফলেই জাতীয়ভাবে বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টি এমনকি অর্থনৈতিক প্রগতি বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে নেই সচেতনতা উপরন্তু সচেতনতা বৃদ্ধির সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় কোনো পদক্ষেপও প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না।
কিন্তু কথা ছিল, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে, এমন সবাই বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহারে সচেতন হয়ে অপচয় রোধ করে সংকট দূরীকরণ এবং জাতীয় অর্থনীতিকে প্রগতিশীল রাখা। যাতে চাহিদা পূরণ করে বিদ্যুৎ বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হয়ে। আর দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর জন্য এটাই কাম্য।
আবু হামজা
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশ উন্নতি ও অগ্রগতির চরম শিখরে পৌঁছেছে। যার ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবাই সাধারণ জনগোষ্ঠী ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে।আর এই ডিজিটাল সেবার মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে বিদ্যুৎ। মানবজীবন যেমন আত্মা ছাড়া নিথর দেহ। জনজীবনও বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানে প্রায় তেমন।
কিন্তু এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে নেই কোনো সচেতনতা বরং তা অপচয় করাই যেন ফ্যাশন আর স্মার্টনেস। ঘরে, বাইরে, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাল্ব সংযোজন এবং অপ্রয়োজনে বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা, ঘরে মানুষের অস্তিত্ব না থাকলেও বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে রাখা, বিশেষ করে বাজারের দোকানগুলোতে পাঁচ-সাতটি, ক্ষেত্র বিশেষে দশটিরও অধিক বাল্ব অপ্রয়োজনে জ্বলতে দেখা যায়।
আবার কোনো অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জা ঝলমল করতে থাকে দিনব্যাপী যেখানে শুধু রাতেই তা অবলোকন সম্ভব। প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় এমনকি অপ্রয়োজনীয় বাল্বগুলোও জ্বলতে থাকে সকাল আটটা-দশটা অবধি, মাঝে মাঝে সারাদিনও। অন্যদিকে বাসা-বাড়ির ফ্রিজে ফ্রিজায়নের কিছু না থাকলেও তা চলতেই থাকে মাসভর। এসবকিছু অপচয় বৈ কিছুই নয়। এই অপচয়ের ফলেই জাতীয়ভাবে বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টি এমনকি অর্থনৈতিক প্রগতি বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে নেই সচেতনতা উপরন্তু সচেতনতা বৃদ্ধির সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় কোনো পদক্ষেপও প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না।
কিন্তু কথা ছিল, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে, এমন সবাই বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহারে সচেতন হয়ে অপচয় রোধ করে সংকট দূরীকরণ এবং জাতীয় অর্থনীতিকে প্রগতিশীল রাখা। যাতে চাহিদা পূরণ করে বিদ্যুৎ বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হয়ে। আর দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর জন্য এটাই কাম্য।
আবু হামজা