মোহাম্মদ আবু নোমান
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার দাবি মেনে নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর পরিবহন মালিকরা কতিপয় শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া শুধু ঢাকা শহরের জন্য প্রযোজ্য হবে; ঢাকার বাইরে নয়। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন- নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাফ ভাড়া দেয়া যাবে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটির সময় হাফ ভাড়া দেয়া যাবে না। শুধু ঢাকা মহানগরে চলাচলকারী বাসে হাফ ভাড়া দেয়া যাবে; ঢাকার বাইরের জন্য এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
এ কেমন সিদ্ধান্ত! এক দেশে দুই আইন! এক আইন দুই জায়গায় ভিন্ন হবে কেন? শুধু রাজধানীর জন্য অর্ধেক ভাড়া, যা একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নয় কী? ঢাকার বাইরে কি ছাত্ররা থাকে না? নাকি ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সক্ষমতা বেশি? ছুটির দিনেও হাফ পাস কার্যকর করা উচিত ছিল, কারণ ছুটির দিনে শিক্ষার্থীরা চাকরিজীবী হয়ে যায় না। এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ ও সিদ্ধান্ত পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ছিল। ১১ দফাই বলছে- তখন শুধু পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে হাফ ভাড়ার সুযোগ ছিল। যার কারণে পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ অংশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হয়েছিল। স্বাধীন দেশে এরকম সিদ্ধান্ত থাকতে পারে কি? ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের কি হাফ ভাড়ার সুবিধা ভোগের অধিকার নেই? নাকি দেশের সব কোটিপতিদের ছেলেমেয়েরা ঢাকার বাইরে বসবাস করে? ঢাকায় শুধু গরিব পরিবহন মালিক ও গরিব শিক্ষার্থীদের বসবাস?
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইতোপূর্বে পরিবহন নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছিলেন- ‘ঢাকায় চলাচলকারী পরিবহন মালিকদের ৮০ শতাংশ গরিব...।’ তার কথা হয়তো সঠিক। পরিবহন মালিকরা ‘পয়সাওয়ালা গরিব’! কারণ বাংলাদেশ এখন উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে। এখানে একজন গরিব পর্যন্ত বাসের মালিক! বাংলাদেশে গরিবের সজ্ঞাও ভিন্নভাবে করতে হবে। এখানে গরিব তারাই যারা অঢেল অর্থের অধিকারী, কিন্তু ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে অপারগ, আয় গোপন করতে পারঙ্গম ও অর্থপাচারে সিদ্ধহস্ত। অন্যদিকে নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে গরিব নেই। তাহলে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এত (৮০%) গরিব মানুষ কোথায় পেলেন? আর গরিব মানুষ ৪০-৫০ লাখ টাকার গাড়ির মালিক কীভাবে? কত টাকার মালিক হলে মানুষ গরিব থাকে না? লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে যে গাড়ি কিনতে পারে সে যদি গরিব হয়, তাহলে গরিবের রচনা লিখতে নতুন করে ভাবতে হবে। পরিবহন নেতাদের কথা যদি ঠিকই ধরে নেয়া হয়, তাহলে বলতে হবে তাদের আর্থিক দরিদ্রতা নয়, ‘অন্তরের দরিদ্রতা’ রয়েছে।
সাধারণ মানুষ তো কেউ হাফ ভাড়া দেয়ার চিন্তা করে না। দিনভর কি শুধু ছাত্ররাই ভরপুর থাকে দেশের গাড়িতে? সারাদিন কি শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস চলে? নাকি সাধারণ মানুষও চলাফেরা করে? একটা বাসে হয়তো দুই-তিন জন শিক্ষার্থী ওঠে, এদের হাফ ভাড়া নিতে তাদের এত কষ্ট। গরিবের দোহাই দিতে হলো? অথচ ২০-৩০ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যায়, বাসের দরজায় ঝুলে থেকেও ফুল ভাড়া দেয়া হয়। এ দৃশ্য সারাদেশের। সেটা কি পরিবহন কর্তৃপক্ষ দেখেন না? বাসগুলোতে আটার বস্তার মতো ভরে যাত্রী বহন করে! দুই পা ফেলার জায়গা থাকে না! সিটিং বলে ভাড়া আদায় করা হয়। সিটিং সার্ভিসে যাত্রীদের দাঁড় করে নেয়া টাকাগুলো কার পেটে যায়? সিটিং বা গেটলক সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সেটিও তারা মানছেন না। বাসে উঠলেই পুরো পথের ভাড়া নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি, দেশ সবাইকে নিয়ে চলবে। সবার কথা চিন্তা করতে হবে। বাস মালিকরা শিক্ষার্থীদের ছাড় দেবে, যাত্রীরাও গাড়ির স্টাফদের ছাড় দেবে- এটাই নিয়ম।
বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ও বেসরকারি গণপরিবহনগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শুধু শিক্ষার্থী নয়, বয়স্ক নাগরিকদেরও বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় গণপরিবহনগুলোতে। পরিবহন বিভাগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখনোর কথা বলা হয়েছে। তাদের এ দাবি যথাযথ। আমরাও মনে করি ছাত্রদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের আইডি সাথে রাখতে হবে। তাহলে ছাত্ররা এ সুযোগ পাবে। অছাত্ররা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
বাস মালিকদের টার্মিনালে চাঁদা দিতে হয়, সড়কে পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এসব খরচ তো মালিককে তুলতে হবে। নিরীহ যাত্রীদের কাছ থেকেই মালিকেরা আদায় করেন এসব খরচ। অন্যদিকে মালিকেরা চান নির্দিষ্ট আয়, এতে তারা কোনোরকম ছাড় দিতে রাজি নয়। মালিকরা চুক্তিতে চালক-সহকারীর কাছে বাস ছেড়ে দেন। পৃথিবীর কোথাও এমন আছে কী?
পরিবহন ব্যবসায় বকেয়ার কোন কারবার নেই, ক্যাশ টাকার ব্যবসা, লাভজনক ব্যবসা। কেন জানি এখানে রাজনৈতিক ও আমলাদের আগ্রহ বেশি! সরকারও সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। পরিবহন জগত একটা বিরাট সিন্ডিকেট। রুট পারমিটের অনুমতি নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। রুট পারমিট যারা দিচ্ছেন, তারা সবসময়ই সরকারি দলের হয়ে থাকেন। পরিবহন নেতাদের জন্য রুট পারমিট পাওয়া না জানি আকাশের চাঁদ পাওয়া। এরপর থেকে তারা সবচেয়ে সহজ আয় শুরু করেন। ওই পথে পরিবহন চালাতে গেলে তার ব্যানারেই চালাতে হবে। এ ব্যানারে ঢুকতেই বাস মালিকদের অনেক টাকা গুনতে হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এ কারণেই গণপরিবহনের সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এ চিত্র বদলানো না গেলে সরকার, জনগণকে আরও বেশি ভুগতে হবে।
হাফ ভাড়া নেয়ার সিদ্ধান্ত শুধু ঢাকা শহর নয়, পুরো দেশের জন্যই হওয়া উচিত ছিল। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা কী অপরাধ করেছে? এটা রীতিমতো চরম বৈষম্যমূলক, অন্যায্য, অযৌক্তিক ও প্রহসনমূলক ঘোষণা। বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সারাদেশে সব গণপরিবহনে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়া হোক।
মোহাম্মদ আবু নোমান
বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার দাবি মেনে নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর পরিবহন মালিকরা কতিপয় শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া শুধু ঢাকা শহরের জন্য প্রযোজ্য হবে; ঢাকার বাইরে নয়। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন- নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাফ ভাড়া দেয়া যাবে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটির সময় হাফ ভাড়া দেয়া যাবে না। শুধু ঢাকা মহানগরে চলাচলকারী বাসে হাফ ভাড়া দেয়া যাবে; ঢাকার বাইরের জন্য এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
এ কেমন সিদ্ধান্ত! এক দেশে দুই আইন! এক আইন দুই জায়গায় ভিন্ন হবে কেন? শুধু রাজধানীর জন্য অর্ধেক ভাড়া, যা একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নয় কী? ঢাকার বাইরে কি ছাত্ররা থাকে না? নাকি ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সক্ষমতা বেশি? ছুটির দিনেও হাফ পাস কার্যকর করা উচিত ছিল, কারণ ছুটির দিনে শিক্ষার্থীরা চাকরিজীবী হয়ে যায় না। এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ ও সিদ্ধান্ত পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ছিল। ১১ দফাই বলছে- তখন শুধু পশ্চিম পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে হাফ ভাড়ার সুযোগ ছিল। যার কারণে পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ অংশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হয়েছিল। স্বাধীন দেশে এরকম সিদ্ধান্ত থাকতে পারে কি? ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের কি হাফ ভাড়ার সুবিধা ভোগের অধিকার নেই? নাকি দেশের সব কোটিপতিদের ছেলেমেয়েরা ঢাকার বাইরে বসবাস করে? ঢাকায় শুধু গরিব পরিবহন মালিক ও গরিব শিক্ষার্থীদের বসবাস?
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইতোপূর্বে পরিবহন নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছিলেন- ‘ঢাকায় চলাচলকারী পরিবহন মালিকদের ৮০ শতাংশ গরিব...।’ তার কথা হয়তো সঠিক। পরিবহন মালিকরা ‘পয়সাওয়ালা গরিব’! কারণ বাংলাদেশ এখন উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে। এখানে একজন গরিব পর্যন্ত বাসের মালিক! বাংলাদেশে গরিবের সজ্ঞাও ভিন্নভাবে করতে হবে। এখানে গরিব তারাই যারা অঢেল অর্থের অধিকারী, কিন্তু ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে অপারগ, আয় গোপন করতে পারঙ্গম ও অর্থপাচারে সিদ্ধহস্ত। অন্যদিকে নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে গরিব নেই। তাহলে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এত (৮০%) গরিব মানুষ কোথায় পেলেন? আর গরিব মানুষ ৪০-৫০ লাখ টাকার গাড়ির মালিক কীভাবে? কত টাকার মালিক হলে মানুষ গরিব থাকে না? লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে যে গাড়ি কিনতে পারে সে যদি গরিব হয়, তাহলে গরিবের রচনা লিখতে নতুন করে ভাবতে হবে। পরিবহন নেতাদের কথা যদি ঠিকই ধরে নেয়া হয়, তাহলে বলতে হবে তাদের আর্থিক দরিদ্রতা নয়, ‘অন্তরের দরিদ্রতা’ রয়েছে।
সাধারণ মানুষ তো কেউ হাফ ভাড়া দেয়ার চিন্তা করে না। দিনভর কি শুধু ছাত্ররাই ভরপুর থাকে দেশের গাড়িতে? সারাদিন কি শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস চলে? নাকি সাধারণ মানুষও চলাফেরা করে? একটা বাসে হয়তো দুই-তিন জন শিক্ষার্থী ওঠে, এদের হাফ ভাড়া নিতে তাদের এত কষ্ট। গরিবের দোহাই দিতে হলো? অথচ ২০-৩০ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যায়, বাসের দরজায় ঝুলে থেকেও ফুল ভাড়া দেয়া হয়। এ দৃশ্য সারাদেশের। সেটা কি পরিবহন কর্তৃপক্ষ দেখেন না? বাসগুলোতে আটার বস্তার মতো ভরে যাত্রী বহন করে! দুই পা ফেলার জায়গা থাকে না! সিটিং বলে ভাড়া আদায় করা হয়। সিটিং সার্ভিসে যাত্রীদের দাঁড় করে নেয়া টাকাগুলো কার পেটে যায়? সিটিং বা গেটলক সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সেটিও তারা মানছেন না। বাসে উঠলেই পুরো পথের ভাড়া নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি, দেশ সবাইকে নিয়ে চলবে। সবার কথা চিন্তা করতে হবে। বাস মালিকরা শিক্ষার্থীদের ছাড় দেবে, যাত্রীরাও গাড়ির স্টাফদের ছাড় দেবে- এটাই নিয়ম।
বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ও বেসরকারি গণপরিবহনগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শুধু শিক্ষার্থী নয়, বয়স্ক নাগরিকদেরও বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় গণপরিবহনগুলোতে। পরিবহন বিভাগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখনোর কথা বলা হয়েছে। তাদের এ দাবি যথাযথ। আমরাও মনে করি ছাত্রদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের আইডি সাথে রাখতে হবে। তাহলে ছাত্ররা এ সুযোগ পাবে। অছাত্ররা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
বাস মালিকদের টার্মিনালে চাঁদা দিতে হয়, সড়কে পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এসব খরচ তো মালিককে তুলতে হবে। নিরীহ যাত্রীদের কাছ থেকেই মালিকেরা আদায় করেন এসব খরচ। অন্যদিকে মালিকেরা চান নির্দিষ্ট আয়, এতে তারা কোনোরকম ছাড় দিতে রাজি নয়। মালিকরা চুক্তিতে চালক-সহকারীর কাছে বাস ছেড়ে দেন। পৃথিবীর কোথাও এমন আছে কী?
পরিবহন ব্যবসায় বকেয়ার কোন কারবার নেই, ক্যাশ টাকার ব্যবসা, লাভজনক ব্যবসা। কেন জানি এখানে রাজনৈতিক ও আমলাদের আগ্রহ বেশি! সরকারও সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। পরিবহন জগত একটা বিরাট সিন্ডিকেট। রুট পারমিটের অনুমতি নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। রুট পারমিট যারা দিচ্ছেন, তারা সবসময়ই সরকারি দলের হয়ে থাকেন। পরিবহন নেতাদের জন্য রুট পারমিট পাওয়া না জানি আকাশের চাঁদ পাওয়া। এরপর থেকে তারা সবচেয়ে সহজ আয় শুরু করেন। ওই পথে পরিবহন চালাতে গেলে তার ব্যানারেই চালাতে হবে। এ ব্যানারে ঢুকতেই বাস মালিকদের অনেক টাকা গুনতে হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এ কারণেই গণপরিবহনের সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এ চিত্র বদলানো না গেলে সরকার, জনগণকে আরও বেশি ভুগতে হবে।
হাফ ভাড়া নেয়ার সিদ্ধান্ত শুধু ঢাকা শহর নয়, পুরো দেশের জন্যই হওয়া উচিত ছিল। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা কী অপরাধ করেছে? এটা রীতিমতো চরম বৈষম্যমূলক, অন্যায্য, অযৌক্তিক ও প্রহসনমূলক ঘোষণা। বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সারাদেশে সব গণপরিবহনে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়া হোক।