নাজমুল হুদা খান
প্রাচীন যুগের করোনার ইতিহাস আমাদের অজানাই ছিল। তবে কোভিড-১৯ এর আতঙ্ক ও বিস্তৃতি এর গোড়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ সালেও পৃথিবীতে এর অস্তিত্ব ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ সালে আলফা, ৩০০০ সালে বেটা ও ডেল্টা এবং ২৮০০ সালে গামা ধরনের উৎপত্তি ঘটে। এর ক্রমধারায় ২০০৩ সালে সার্স কোভি-১, ২০১২ সালে সার্স কোভি এবং গত দু’বছর ধরে বৈশ্বিক অতিমারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সার্স কোভি-২ বা নভেল করোনাভাইরাস ২০১৯-এর।
গত দু’বছর ধরে বিশ্বের দু’শর বেশি রাষ্ট্র এ রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিধ্বংসী ভাইরাসটিও বসে নেই। পূর্ব পুরুষদের মতোই ক্রমাগত বিবর্তনের ধারা বজায় রেখে একেক সময় একেক রূপে ও সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছে। বৈশ্বিক করোনা অতিমারিতে আলোচিত ধরনসমূহের মধ্যে চীন স্ট্রেইন, দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেইন, ব্রাজিল স্ট্রেইন, যুক্তরাজ্য স্ট্রেইন, যুক্তরাষ্ট্র স্ট্রেইন, ভারত ডাবল ও ট্রিপল মিউট্যান্ট স্ট্রেইন, ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস স্ট্রেইনসমূহ সর্বাধিক আলোচিত। এদের প্রতিটির আবির্ভাবে করোনার সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, উপসর্গের তীব্রতা ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, প্রচলিত নির্ণয় পদ্ধতিকে ফাঁকি দেয়া, এন্টিভাইরাস ওষুধসমূহকে অক্ষম করে ফেলা, দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অকার্যকর করে রাখা, ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও সংক্রমণ, শিশু ও ওসসঁহড়পড়সঢ়ৎড়সরংবফ ব্যক্তির দেহে অধিকতর বিস্তার লাভ এবং সর্বপরী দেহ থেকে বিদায়ের পরও লং কোভিড সিন্ড্রোম হিসেবে এর উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আগমন ঘটবে।
সারাবিশ্ব করোনার প্রথম ঢেউ সামলিয়ে যখন স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার উদ্যোগ নিচ্ছিল। ভ্যাকসিন অস্ত্র দিয়ে করোনা যুদ্ধে বিজয়ের সফলতা দেখা শুরু করতেই জোরেশোরে আলোচনায় আসে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট , আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মহারাষ্ট্রে; মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। হাসপাতালগুলো কিংবা আইসিইউ শেষ হতে সময় লাগেনি; মৃত্যুর মিছিলও লম্বা হতে থাকে। যার ঢেউ সামলাতে হয়েছে বাংলাদেশকেও।
পুনরায় বিশ্ব যখন করোনা সমাপ্তির ধরন, সময়সীমা প্রভৃতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে; দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের দেখা দিয়েছে করোনার নতুন বিধ্বংসী রূপ। যাকে আরও ভয়ঙ্কর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জীবাণু ও রোগত্ত্ববিদরা। জাতিসংঘ এর নাম দিয়েছে ওমিক্রন। যার জেনেটিক কোড বি.১.১.৫২৯। জিনোম সিকোয়েন্সিং এ দেখা গেছে ইতোমধ্যে করোনার এ ধরনটির মিউটেশন ঘটেছে প্রায় ৫০ বার এবং স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটেছে ৩০ বার। যে স্পাইক প্রোটিনকে ঘিরেই ভ্যাকসিনের আবিষ্কার তারই এতবার রঙ বদলালে ভ্যাকসিনসমূহ এ নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর থাকবে তা শিগগিরই জানা যাবে। উপরন্তু ডেল্টা ভাইরাসের রিসেস্টর বাইন্ডিং প্রোটিনে যেখানে পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র ২ বার; ওমিক্রনে তা ঘটেছে ১০ বার। তাই ডেল্টার চেয়ে এটি অধিক ও দ্রুত সংক্রমণশীল কিনা দ্রুতই বোঝা যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার গটেং প্রদেশে হঠাৎই সংক্রমণের হার বেড়ে যায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ০৯ নভেম্বর রোগীর দেহ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে সিকোয়েন্সিং এর জন্য পাঠানো হয়। ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এর বিস্তারিত তথ্য আসে এবং এ সংস্থা এটিকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করে। ইতোমধ্যে এ ধরনটির সংক্রমণের আশঙ্কায় নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসেঙ্গো, মোজাম্বিক, এসোয়াটিনি ও মালাবা প্রভৃতি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত, ইরান ও ব্রাজিল প্রভৃতি দেশও এ ভাইরাসের ব্যাপারে অধিক সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। এসব দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন, সীমান্ত ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। যদিও এ ভাইরাসের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তথাপি বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে-ওমিক্রন ভাইরাসটি সবচেয়ে দ্রুত ও অধিক সংক্রমণক্ষম হবে। উপসর্গ, অসুস্থতার তীব্রতা ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ভ্যাকসিন ও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধসমূহের কার্যকারিতা হ্রাস করবে এবং দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হবে এ নতুন ভাইরাস।
এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ইসরায়েল, হংকং , বেলজিয়াম, বতসোয়ানা প্রভৃতি দেশে করোনা রোগীর দেহে এ নতুন ধরনের শনাক্ত হয়েছে। নেদারল্যান্ডের ৬১ জনের দেহে এ ভাইরাস পাওয়া গেছে; তারা সবাই দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণকারী। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতেও এ ভাইরাস সংক্রমণের সত্যতা মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সামাজিক ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে বলেছে সব দেশকে। মাঠপর্যায়ে জরিপ, ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ এবং করোনা টেস্ট বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে এ সংস্থাটি।
বাংলাদেশে এ ধরনের বিস্তার ঘটবে না এমনটি বলা যায় না। সুতরাং প্রথম থেকেই আমাদের সব পর্যায়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন এবং সবার তা মেনে চলা জরুরি। অন্যথায় আবারও নতুন এক ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের মুখোমুখি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
[লেখক : সহকারী পরিচালক,
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল]
নাজমুল হুদা খান
বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রাচীন যুগের করোনার ইতিহাস আমাদের অজানাই ছিল। তবে কোভিড-১৯ এর আতঙ্ক ও বিস্তৃতি এর গোড়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ সালেও পৃথিবীতে এর অস্তিত্ব ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ সালে আলফা, ৩০০০ সালে বেটা ও ডেল্টা এবং ২৮০০ সালে গামা ধরনের উৎপত্তি ঘটে। এর ক্রমধারায় ২০০৩ সালে সার্স কোভি-১, ২০১২ সালে সার্স কোভি এবং গত দু’বছর ধরে বৈশ্বিক অতিমারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সার্স কোভি-২ বা নভেল করোনাভাইরাস ২০১৯-এর।
গত দু’বছর ধরে বিশ্বের দু’শর বেশি রাষ্ট্র এ রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিধ্বংসী ভাইরাসটিও বসে নেই। পূর্ব পুরুষদের মতোই ক্রমাগত বিবর্তনের ধারা বজায় রেখে একেক সময় একেক রূপে ও সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছে। বৈশ্বিক করোনা অতিমারিতে আলোচিত ধরনসমূহের মধ্যে চীন স্ট্রেইন, দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেইন, ব্রাজিল স্ট্রেইন, যুক্তরাজ্য স্ট্রেইন, যুক্তরাষ্ট্র স্ট্রেইন, ভারত ডাবল ও ট্রিপল মিউট্যান্ট স্ট্রেইন, ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস স্ট্রেইনসমূহ সর্বাধিক আলোচিত। এদের প্রতিটির আবির্ভাবে করোনার সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, উপসর্গের তীব্রতা ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, প্রচলিত নির্ণয় পদ্ধতিকে ফাঁকি দেয়া, এন্টিভাইরাস ওষুধসমূহকে অক্ষম করে ফেলা, দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অকার্যকর করে রাখা, ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও সংক্রমণ, শিশু ও ওসসঁহড়পড়সঢ়ৎড়সরংবফ ব্যক্তির দেহে অধিকতর বিস্তার লাভ এবং সর্বপরী দেহ থেকে বিদায়ের পরও লং কোভিড সিন্ড্রোম হিসেবে এর উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আগমন ঘটবে।
সারাবিশ্ব করোনার প্রথম ঢেউ সামলিয়ে যখন স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার উদ্যোগ নিচ্ছিল। ভ্যাকসিন অস্ত্র দিয়ে করোনা যুদ্ধে বিজয়ের সফলতা দেখা শুরু করতেই জোরেশোরে আলোচনায় আসে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট , আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মহারাষ্ট্রে; মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। হাসপাতালগুলো কিংবা আইসিইউ শেষ হতে সময় লাগেনি; মৃত্যুর মিছিলও লম্বা হতে থাকে। যার ঢেউ সামলাতে হয়েছে বাংলাদেশকেও।
পুনরায় বিশ্ব যখন করোনা সমাপ্তির ধরন, সময়সীমা প্রভৃতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে; দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের দেখা দিয়েছে করোনার নতুন বিধ্বংসী রূপ। যাকে আরও ভয়ঙ্কর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জীবাণু ও রোগত্ত্ববিদরা। জাতিসংঘ এর নাম দিয়েছে ওমিক্রন। যার জেনেটিক কোড বি.১.১.৫২৯। জিনোম সিকোয়েন্সিং এ দেখা গেছে ইতোমধ্যে করোনার এ ধরনটির মিউটেশন ঘটেছে প্রায় ৫০ বার এবং স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটেছে ৩০ বার। যে স্পাইক প্রোটিনকে ঘিরেই ভ্যাকসিনের আবিষ্কার তারই এতবার রঙ বদলালে ভ্যাকসিনসমূহ এ নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর থাকবে তা শিগগিরই জানা যাবে। উপরন্তু ডেল্টা ভাইরাসের রিসেস্টর বাইন্ডিং প্রোটিনে যেখানে পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র ২ বার; ওমিক্রনে তা ঘটেছে ১০ বার। তাই ডেল্টার চেয়ে এটি অধিক ও দ্রুত সংক্রমণশীল কিনা দ্রুতই বোঝা যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার গটেং প্রদেশে হঠাৎই সংক্রমণের হার বেড়ে যায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ০৯ নভেম্বর রোগীর দেহ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে সিকোয়েন্সিং এর জন্য পাঠানো হয়। ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এর বিস্তারিত তথ্য আসে এবং এ সংস্থা এটিকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করে। ইতোমধ্যে এ ধরনটির সংক্রমণের আশঙ্কায় নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসেঙ্গো, মোজাম্বিক, এসোয়াটিনি ও মালাবা প্রভৃতি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত, ইরান ও ব্রাজিল প্রভৃতি দেশও এ ভাইরাসের ব্যাপারে অধিক সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। এসব দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন, সীমান্ত ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। যদিও এ ভাইরাসের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তথাপি বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে-ওমিক্রন ভাইরাসটি সবচেয়ে দ্রুত ও অধিক সংক্রমণক্ষম হবে। উপসর্গ, অসুস্থতার তীব্রতা ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ভ্যাকসিন ও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধসমূহের কার্যকারিতা হ্রাস করবে এবং দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হবে এ নতুন ভাইরাস।
এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ইসরায়েল, হংকং , বেলজিয়াম, বতসোয়ানা প্রভৃতি দেশে করোনা রোগীর দেহে এ নতুন ধরনের শনাক্ত হয়েছে। নেদারল্যান্ডের ৬১ জনের দেহে এ ভাইরাস পাওয়া গেছে; তারা সবাই দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণকারী। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতেও এ ভাইরাস সংক্রমণের সত্যতা মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সামাজিক ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে বলেছে সব দেশকে। মাঠপর্যায়ে জরিপ, ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ এবং করোনা টেস্ট বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে এ সংস্থাটি।
বাংলাদেশে এ ধরনের বিস্তার ঘটবে না এমনটি বলা যায় না। সুতরাং প্রথম থেকেই আমাদের সব পর্যায়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন এবং সবার তা মেনে চলা জরুরি। অন্যথায় আবারও নতুন এক ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের মুখোমুখি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
[লেখক : সহকারী পরিচালক,
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল]