alt

উপ-সম্পাদকীয়

পাবনার বইমেলা

হাবিবুর রহমান স্বপন

: শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাবনায় মাসব্যাপী ‘একুশে বইমেলা’ শুরু হয়েছে। ঢাকায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার পর দেশে একমাত্র পাবনাতেই এক মাসব্যাপী বইমেলা হয়ে থাকে।

এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০০৭ সাল থেকে। দেশে যখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন উঠতে শুরু করল তখন বই থেকে দূরে সরে যেতে লাগল নতুন প্রজন্ম। যুবকরা ক্রমান্বয়ে মোবাইল ফোনে ঝুঁকে পড়তে লাগল। অনেকেই বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। তখন বইবিমুখ জাতিকে বইয়ের দিকে ফিরিয়ে আনতে কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মী উদ্যোগ নেন। তারা আলোচনা করেন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করেন এমন ক’জন মানুষের সঙ্গে। যাদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী প্রমুখ।

আলোচনার জন্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুলতান আহমদ বুড়োর বাড়িতে বসে আসর। সেই আসরে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় পাবনায় বইমেলা করার। যে কথা সেই কাজ। শুরু হলো ৭ দিনের বইমেলা ২০০৭। শুরুতে সর্বসম্মতিক্রমে ‘একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদ’ এর সভাপতি নির্বাচিত হন সুলতান আহমেদ বুড়ো এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন কমরেড জাকির হোসেন। অ্যাডভোকেট কবি আজিজুল হক, মোক্তার হোসেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল, রেজাউল করিম মণি, সাইদুল হক চুন্নু, আলফাজ হোসেন মুকুল, সংগীতজ্ঞ আবুল হাশেম, স্বাধীন মজুমদার, কবি গোলাম রব্বানিসহ বেশ ক’জন প্রথম সভায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর অনেকেই যুক্ত হন এই শুভ কর্মে।

পরের বছর মেলার সময়সীমা বাড়ল ১০ দিন। তার পরের বছর ১৫ দিন। চতুর্থ বছরে ২০১০ সালে মেলা হয় ২১ দিন। তারপর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একুশে বইমেলা হতে থাকে। সব সময়ই একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে পাবনা টাউন হল প্রাঙ্গণে। যথারীতি এবারও একই স্থানে মেলা হচ্ছে।

দেশে প্রায়ই ভালো কাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে থাকে। পাবনার একুশে বইমেলাতেও একই সমস্যার সূত্রপাত হয়। ২০১৪ সালে বইমেলা দখল হয়ে যায়। যারা বইমেলার স্বপ্নদ্রষ্টা তাদের বাদ দিয়ে চলে বইমেলা। তবে সেই বইমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা এবং প্রতিদিনের আলোচনানুষ্ঠানে প্রাণ ছিল না।

২০১৯ ও ২০২০ সালে করোনাজনিত কারণে বইমেলা হয়নি। তারপর ২০২১ সালে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে কমরেড জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ২০২২ সালে এই কমিটি একুশে বইমেলা করে ২০ দিন ব্যাপী। অর্থাৎ ছন্দপতন হয়। এক মাসের মেলা ২০ দিন চলে। এবার ২০২৩-এর একুশে বইমেলা হবে ২৮ দিন অর্থাৎ পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী।

এছাড়া স্থানীয় মেলায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গান, নাটক, নাচ ছাড়াও আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এবারের মেলায় গান (দেশাত্ববোধক, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোকগীতি ইত্যাদি) আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, যন্ত্র সংগীত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

বই আর দেশীয় সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মকে মোবাইল আসক্তি থেকে ফেরাবে, মাদকের সর্বনাশা জগৎ থেকে দূরে রাখবে সেটাই আশা।

[লেখক: সাংবাদিক]

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

পাবনার বইমেলা

হাবিবুর রহমান স্বপন

শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাবনায় মাসব্যাপী ‘একুশে বইমেলা’ শুরু হয়েছে। ঢাকায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার পর দেশে একমাত্র পাবনাতেই এক মাসব্যাপী বইমেলা হয়ে থাকে।

এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০০৭ সাল থেকে। দেশে যখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন উঠতে শুরু করল তখন বই থেকে দূরে সরে যেতে লাগল নতুন প্রজন্ম। যুবকরা ক্রমান্বয়ে মোবাইল ফোনে ঝুঁকে পড়তে লাগল। অনেকেই বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। তখন বইবিমুখ জাতিকে বইয়ের দিকে ফিরিয়ে আনতে কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মী উদ্যোগ নেন। তারা আলোচনা করেন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করেন এমন ক’জন মানুষের সঙ্গে। যাদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী প্রমুখ।

আলোচনার জন্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুলতান আহমদ বুড়োর বাড়িতে বসে আসর। সেই আসরে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় পাবনায় বইমেলা করার। যে কথা সেই কাজ। শুরু হলো ৭ দিনের বইমেলা ২০০৭। শুরুতে সর্বসম্মতিক্রমে ‘একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদ’ এর সভাপতি নির্বাচিত হন সুলতান আহমেদ বুড়ো এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন কমরেড জাকির হোসেন। অ্যাডভোকেট কবি আজিজুল হক, মোক্তার হোসেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল, রেজাউল করিম মণি, সাইদুল হক চুন্নু, আলফাজ হোসেন মুকুল, সংগীতজ্ঞ আবুল হাশেম, স্বাধীন মজুমদার, কবি গোলাম রব্বানিসহ বেশ ক’জন প্রথম সভায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর অনেকেই যুক্ত হন এই শুভ কর্মে।

পরের বছর মেলার সময়সীমা বাড়ল ১০ দিন। তার পরের বছর ১৫ দিন। চতুর্থ বছরে ২০১০ সালে মেলা হয় ২১ দিন। তারপর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একুশে বইমেলা হতে থাকে। সব সময়ই একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে পাবনা টাউন হল প্রাঙ্গণে। যথারীতি এবারও একই স্থানে মেলা হচ্ছে।

দেশে প্রায়ই ভালো কাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে থাকে। পাবনার একুশে বইমেলাতেও একই সমস্যার সূত্রপাত হয়। ২০১৪ সালে বইমেলা দখল হয়ে যায়। যারা বইমেলার স্বপ্নদ্রষ্টা তাদের বাদ দিয়ে চলে বইমেলা। তবে সেই বইমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা এবং প্রতিদিনের আলোচনানুষ্ঠানে প্রাণ ছিল না।

২০১৯ ও ২০২০ সালে করোনাজনিত কারণে বইমেলা হয়নি। তারপর ২০২১ সালে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে কমরেড জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ২০২২ সালে এই কমিটি একুশে বইমেলা করে ২০ দিন ব্যাপী। অর্থাৎ ছন্দপতন হয়। এক মাসের মেলা ২০ দিন চলে। এবার ২০২৩-এর একুশে বইমেলা হবে ২৮ দিন অর্থাৎ পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী।

এছাড়া স্থানীয় মেলায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গান, নাটক, নাচ ছাড়াও আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এবারের মেলায় গান (দেশাত্ববোধক, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোকগীতি ইত্যাদি) আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, যন্ত্র সংগীত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

বই আর দেশীয় সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মকে মোবাইল আসক্তি থেকে ফেরাবে, মাদকের সর্বনাশা জগৎ থেকে দূরে রাখবে সেটাই আশা।

[লেখক: সাংবাদিক]

back to top